ফিফা উইন্ডোতে আন্তজার্তিক প্রীতি ম্যাচ এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল যেনো বিপরীতে কোনো এক সম্পর্ক। প্রতিটি ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার জন্য বেশ তোড়জোড় চালালেও বেশীরভাগ সময় বিফলে গিয়েছে ফেডারেশনের মুখে আওড়ানো তথাকথিত সকল চেষ্টা। প্রতিবার নারী ফুটবলের প্রতি আশ্বাস দিয়েই যেনো দায়ভার সারতে চায় ফেডারেশন। এবারেও জুনের ফিফা উইন্ডো নিয়ে আশ্বাসের বাণী আওড়াচ্ছে ফেডারেশন।
জুনের ফিফা উইন্ডোতে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে খেলতে চলেছে বাংলাদেশ নারী দল। এই প্রীতি ম্যাচ খেলতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অবশেষে সেখানে সফলও হয়েছে। জুনের ফিফা উইন্ডোতে চাইনিজ তাইপেকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। চাইনিজ তাইপের ফেডারেশন চিঠি দিয়ে তা নিশ্চিত করেছে বলে জানান বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন,
আমরা সবগুলো ফিফা উইন্ডোতেই মেয়েদের জন্য প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের চেষ্টা করেছি। চেষ্টা বললে ভুল হবে অনেক বেশি চেষ্টা করেছি। তবে ব্যাটে বলে মেলেনি। তবে জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচ দুটি আয়োজিত হবে।
সাফের আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ম্যাচ দুইটি বাংলাদেশের জন্য কার্যকারী হবে বলে আশা করছেন কিরণ। এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
এই ম্যাচ দুটিকে আমরা সাফের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবে নিচ্ছি। এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো। চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ নারী দল শেষবার মাঠে নেমেছিলো সিঙ্গাপুর নারী দলের বিপক্ষে। সেবার সিঙ্গাপুরকে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচেই হারিয়েছিলো তারা। তবে এরপর আর লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামতে পারেনি সাবিনা-সানজিদারা। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও তারা তা নাকচ করে দিয়েছিলো।