বসুন্ধরা কিংসের জুজু কোনোভাবেই কাটাতে পারছে না দেশের ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনী লিমিটেড। বিপিএল এখনো পর্যন্ত কিংসের বিপক্ষে জয়ের দেখা পায় নি আবাহনী। নতুন মৌসুমে পূর্বের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটালো বসুন্ধরা কিংস। নতুন মৌসুমে আবাহনীকে ২-০ তে হারিয়ে ঐতিহ্যবাহী দলটির অহমে আরো একবার আঘাত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচে লিড নেওয়ার প্রথম সুযোগটা পায় ঢাকা আবাহনী। ৬ মিনিটে মোহাম্মদ হৃদয়ের ক্রস থেকে ওয়াশিংটন ব্রান্ডো হেড করলে গোলের দারুণ সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো লাফিয়ে পড়ে বলকে আটকে দেন। ২৩ মিনিটের মাথায় একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটে আবাহনীর রক্ষণে রবসনের ক্রস থেকে রাকিব গোলমুখে হেড করলে আবাহনীকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
তবে তারপরেই গোলের দেখা পেয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের ২৬ মিনিটে মিগেল ডামাসেনার কর্ণার কিক থেকে ডরিয়েল্টন গোমেজের হেডারে বাইসাইকেল কিকে গোল করেন কিংসের প্রাণভোমরা,ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন রবিনহো। ৪০ তম মিনিটে লিড দ্বিগুণ করতে পারতো বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু বক্সের ভেতরে ডরিয়েল্টন গোমেজের রকেট গতির শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে সেই যাত্রা রক্ষা পায় আবাহনী। এরপর ম্যাচের প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ে কোনোদল বড় আক্রমণ তৈরি করতে পারে নি। এতে ১-০ গোলের ব্যবধানে প্রথমার্ধের লড়াই শেষ করে দুইদল।
৬৬ মিনিটে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় ঢাকা আবাহনী। তপু বর্মনের ভুল পাস থেকে কাউন্টার অ্যাটাকে আবাহনীর গোল শোধের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আবাহনীর কর্নিলিয়াস স্টুয়ার্ট একাই বল নিয়ে আক্রমণে গিয়ে একাই গোলের প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীন শট গোল আদায় করে নিতে ব্যর্থ হয়।
৭২ মিনিটে লিড দ্বিগুণ করে বসুন্ধরা কিংস। রবসন রবিনহোর পাসে মিগেল-ডরির ওয়ান টু ওয়ান থেকে মিগেলের নির্ভুল ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দাঁড়ায় ২-০ তে। এরপর ম্যাচে আর কোনো গোল না হলে জয় দিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস। এই জয়ের ফলে ৫ ম্যাচের ৫ টিতেই জয় নিয়ে ১৫ পয়েন্টে নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সবার উপরে অবস্থান করছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে ২ জয় ১ ড্র এবং ২ হারে ৭ পয়েন্ট নিয়েই পয়েন্ট তালিকার তৃতীয়তে আছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।