কিট পার্টনার একটি খেলুড়ে দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জাতীয় দল ও ক্লাব ফুটবলে প্রথম সারির দলগুলোর স্পন্সর হতে বিশ্বের নামাদামি সব ব্র‍্যান্ড হুমড়ি খেয়ে পড়ে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেরই কিট স্পন্সর আছে। তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের থেকে র‍্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলের কিট স্পন্সর থাকে সেখানে কিট স্পন্সর ছাড়া এতোসময় মাঠের খেলা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তবে এবার কিট পার্টনার পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ;এমনটাই জানিয়েছেন বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।তিনি দায়িত্ব নেবার পরেই  কাজ শুরু করেছেন দ্রুততার সাথে।

আগামী জানুয়ারী মাসে কিট পার্টার পেতে পারে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই প্রসঙ্গে বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন,

“আপনারা জানেন কিট পার্টনার আমরা কখনো পাইনি। সেটা নিয়েই আমি কাজ করছি। আমি বিশ্বাস করি এই মাসের শেষে কিংবা জানুয়ারি মাসে আমরা বেশ কিছু পার্টনারশীপ এনাউন্সমেন্ট করতে পারবো।”

কিট পার্টনার না থাকাটাকে দুঃখজনক মনে করছেন ফাহাদ করিম। তিনি বলেন,

“কিট পার্টনার না থাকাটা অনেক দুঃখজনক। আমি যখন মার্কেটিংয়ের দায়িত্ব পাই তখন আমাদের সভাপতিকে জানিয়েছিলাম আমাদের কিট পার্টনার লাগবে। আপনারা দেখে থাকবেন আমাদের নারী দল অনেক বড় বড় সাফল্য বয়ে আনছে, সেখানে যদি আমাদের কিট পার্টনার না থাকে তাহলে খুব বাজে দেখায়।”

দেশীয় স্পন্সরের পাশাপাশি বিদেশী স্পন্সর নিয়ে তোড়জোড় চালাচ্ছে বাফুফে। ইতিমধ্যে তাদের সাথে আলোচনায়ও বসেছে ফেডারেশন। এই নিয়ে ফাহাদ করিম বলেন,

“আমরা দেশী এবং বিদেশী দুই ধরনের গ্রুপের সাথে কথাবার্তা বলছি। আমাদের দল কিন্তু আমাদের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে, তারা আমাদের দেশের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর। আমরা আন্তজার্তিক কয়েকটা সংস্থার সাথে যেমন কথা বলেছি, তেমনি দেশীয় অনেকটা সংস্থার সাথেও আমাদের আলোচনা চলছে। আমি আশা করছি, আমাদের প্রথম যে পার্টনারশীপের ঘোষণা আসবে সেটা কিট পার্টনারই হবে। ২০২৫ সালের ভিতরেই আমাদের নারী এবং পুরুষ দুইদলেরই কিট স্পন্সর থাকবে।”

Previous articleপ্রীতি ম্যাচের জন্য আমিরাত নারী দলকে  আমন্ত্রণ  
Next articleমহানগরী লিগ কমিটির প্রথম সভা; আলোচনায় মাঠ ও অর্থ সংকট!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here