এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের যাত্রার শুরুটা একেবারেই সুখকর হলো না। কুয়েতের বিপক্ষে ০-১ গোলে হেরেছে মারুফুল হকের শিষ্যরা।
উজবেকিস্তানের রাজধানী তাশখন্দের জার একাডেমী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শক্তিশালী কুয়েতের বিপক্ষে শুরু থেকেই সমানতালে লড়ার আভাস দেয় বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে ধীরে ধীরে পাসিং ফুটবলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ফিফা রেংকিংয়ে ১৪২ নম্বর অবস্থানে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তবে পুরো ম্যাচ জুড়েই নিজেদের রক্ষণ আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের একমাত্র গোলটি আসে ১৯তম মিনিটে। প্রায় ডিফেন্স লাইন থেকে লম্বা করে বাড়ানো বল দখলে নিতে বাংলাদেশের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন পোস্ট ছেড়ে বক্সের সামনে চলে আসেন। আগুয়ান গোলরক্ষক বল ধরার আগেই কুয়েতি ফরোয়ার্ড ইউসুফ আলরাশেদি বল জালে জড়ান।
তবে গোল হজম করার আগে কুয়েতি অধিনায়ক ঈদ আলরাশিদীর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন পাপ্পু হোসেন। কুয়েতের পাওয়া পেনাল্টি নিয়েও অনেক অনেক অভিযোগ করার জায়গা রয়েছে বাংলাদেশের।
তবে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পরও বাংলাদেশ মোটামুটি ভালোই খেলেছে। গোল পরিশোধের চেষ্টা করেছে ম্যাচের বাকি সময়। সিনিয়র জাতীয় দলের ফুটবলার রহমত, ইয়াসিনরা রক্ষণের পাশাপাশি আক্রমণেও বল যোগান দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কয়েকটি ভালো আক্রমণ হলেও শেষ পর্যন্ত ফিনিশিং দুর্বলতায় ম্যাচে সমতা আনা হয়নি।
কুয়েতের বিপক্ষে হারের পর ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার কথা বলছেন কোচ মারুফুল হক, “আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পেরেছি। তবে পেনাল্টি সেভ করায় ফুটবলাররা কিছুটা আত্মতুষ্টিতে ভুগেছিলো, যায় কারণে বেশি আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল হজম করতে হয়েছে। আশা করছি আমাদের ফুটবলাররা এই ম্যাচের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের ম্যাচগুলোতে ভাল খেলবে।”
গ্রুপের অন্য ম্যাচে স্বাগতিক উজবেকিস্তান ২-২ গোলে ড্র করেছে সৌদি আরবের সঙ্গে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ৩০ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ স্বাগতিক উজবেকিস্তান।