বিমানবন্দরের পর এবার কুয়েতের স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডসম্যানদের কাছ থেকেও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে বর্তমানে কুয়েতে আছে হ্যাভিয়ার ক্যাবররার শিষ্যরা। গত ১৭ ই মার্চ সৌদি আরব ছেড়ে কুয়েতে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। কুয়েত পৌঁছানোর পর গতকাল ১৮ ই মার্চ অনুশীলনে নামে খেলোয়াড়েরা।
বাংলাদেশ দল তার মাঠের অনুশীলন সেরেছে কুয়েতের আল শাহের ফুটবল স্পোর্টিং ক্লাব গ্রাউন্ডে। সেই স্টেডিয়ামে কাজ করে কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী। বাংলাদেশ দল যখন অনুশীলন শুরু করে তখন মাত্র ইফতার শেষ করেছে ওই সকল প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ইফতার শেষে খানিকক্ষণ বিশ্রাম না নিয়ে নিজের দেশের ফুটবলারদের সুবিধার্থে কাজে নেমে পড়ে তারা। সেই সময় মাঠে পানি দেয়া, ফ্লাডলাইট জ্বালানো থেকে অনেক কিছু বেশ আন্তরিকতা নিয়ে করেছেন প্রবাসীরা।
তাদের এমন ব্যবহারে খুশি হয়েছে পুরো বাংলাদেশ দল। এসব প্রবাসী বাংলাদেশীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান। তিনি বলেন,
আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা এই ক্লাবের সঙ্গে থাকায় অনুশীলন বেশ সহজ হয়েছে। দলের চাহিদা মতো সব কিছু হয়েছে। বিশেষ করে ইফতারের পরপরই এমন সহযোগিতার জন্য দলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
ম্যানেজারের মতো গ্রাউন্ডম্যানদের এমন আচরণ খুশি হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডার তপু বর্মন। তিনি বলেন,
কুয়েত এয়ারপোর্টে নামার পর আমরা যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি তা সত্যি অসাধারণ। আশা করি আমাদের দেশি ভাইয়েরা ২১শে মার্চ স্টেডিয়ামে এসে উৎসাহিত করবেন। ব্যক্তিগতভাবে ও দলের পক্ষ থেকে বলতে পারি আমরা তাদের নিরাশ করব না।
কুয়েত এয়ারপোর্টে নামার পর আমরা যে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি তা সত্যি অসাধারণ। আশা করি আমাদের দেশি ভাইয়েরা ২১ মার্চ স্টেডিয়ামে এসে উৎসাহিত করবেন। ব্যক্তিগতভাবে ও দলের পক্ষ থেকে বলতে পারি আমরা তাদের নিরাশ করব না।