জয় দিয়ে গ্রুপ পর্বের শেষটা করলো ঢাকা আবাহনী। শেষ ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-০ গোলে পরাজতি করে দলটি। তাদের জয়ে রহমতগঞ্জের সামনে কোয়ার্টার ফাইনালে দরজা খুলে গিয়েছে। অন্যদিকে হারের কারণে বিদায় নিয়েছে শেখ রাসেল।
স্বাধীনতা কাপে একমাত্র চার দলের গ্রুপটিতে আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো আবাহনী। রহমতগঞ্জ এবং শেখ রাসেল দুই দলেরই চার পয়েন্ট করে থাকার কারণে শেষ ম্যাচে জয় বা ড্র যেকোনো একটি হলে কোয়ালিফাই নিশ্চিত ছিলো শেখ রাসেলের জন্য। তাই নির্ভারভাবে আবাহনীর বিপক্ষে লড়াইটা শুরু করে শেখ রাসেল।
প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই গোল করতে পারে নি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে চমক দেখায় আবাহনী। শেখ রাসেলের গোলে দুইবার বল পাঠায় আকাশী নীলরা। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে জনাথন ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। এর দশ মিনিট পরে আবাহনীর হয়ে আরেকটি গোল করেন দলের আরেক ব্রাজিলিয়ান ওয়াশিংটন ব্রান্ডো। বিনিময়ে কোনো গোল শোধ করতে পারে নি শেখ রাসেল। ফলে ২-০ তে জয় আবাহনী।
এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে আবাহনী। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে সমান পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় রানার্সআপ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রহমতগঞ্জ, বিপরীতে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় শেখ রাসেল।
দিনের আরেক ম্যাচে মাঠে নামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং ফর্টিস এফসি। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ম্যাচে ফর্টিস এফসির হয়ে গোল করেন ভালেরি হারেসি এবং মোহামেডানের হয়ে গোল করেন মিনহাজুর আবেদীন রাকিব।
ড্রয়ের ফলে গ্রুপের সবার পয়েন্ট হয়ে যায়। এতে করে জটিল এক সমীকরণ দেখা দেয়। কিন্তু গোলের সমীকরণের কারণে সেনাবাহিনী এবং মোহামেডান থেকে পিছিয়ে পড়ে ফর্টিস। এর ফলে সেনাবাহিনী এবং মোহামেডান পরবর্তী রাউন্ডে চলে গেলেও বাদ পড়ে যায় ফর্টিস।