মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-০ গোলের হার যেনো ছন্দে থাকা বাংলাদেশের হঠাৎই ছন্দপতন। শ্রীলঙ্কা,ভারতের মতো বাধা টপকাতে পারলেও পারেনি স্বাগতিক দেশ মালদ্বীপের বাধা টপকাতে। ভারতের মতো পরাশক্তি দলের সাথে যে বাংলাদেশ ছিলো আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ,মালদ্বীপের বিপক্ষে সে বাংলাদেশ যেনো হয়ে গেলো ছন্নছাড়া এক কাফেলা।
প্রথমার্ধের নিজেদের রক্ষণভাগ আগলে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। তবে হার ও গোল হজমের পিছনে শক্তির তারতম্যকে মূল কারণ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান প্রশিক্ষক অস্কার ব্রুজন। অস্কার বলেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা ম্যাচেই ছিলাম। প্রথমার্ধ ফিফটি ফিফটি ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শক্তিতে পিছিয়ে পড়ি। কারণ আমরা ভারতের সাথে খেলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মালদ্বীপের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছি। অন্য দিকে তারা পাঁচ দিন একদম সতেজ এবং শক্তিশালী মেজাজে ছিল।’
এছাড়াও নিজেদের হারের পিছনে রেফারির ব্যর্থতাকেও তুলে ধরেছেন অস্কার ব্রুজন। তিনি বলেন ‘খুবই পক্ষপাতী রেফারিং হয়েছে। আমাদের পাঁচটি কার্ড দেখানো হয়েছে। রেফারিং নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। আমি কিছু বলব না। ম্যাচ হারে রেফারিংকে আমি দায়ী করছি না। আমরা হেরেছি মূলত ক্লান্তি ও শক্তির তারতম্যে।’
প্রথম দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে স্বস্তিতে থাকলেও মালদ্বীপের বিপক্ষে হার বেশ অস্বস্তিতে ফেলছে বাংলাদেশ দলকে। এই হারের ফলে ফাইনাল ম্যাচে কোয়ালিফাই করা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।সাফ মিশনে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ নেপালের বিপক্ষে। নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশের হাতে আছে আরো ৫ দিন,যা কিছুটা শঙ্কামুক্ত রাখবে বাংলাদেশকে। এই বিষয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমরা পাঁচ দিন সময় পাব। আমরা এখানে এসেছি ভালো খেলার লক্ষ্যে নয়, ফাইনাল খেলার জন্য। ফাইনাল খেলতে হলে নেপালকে হারাতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করব পাঁচ দিন ধরে।’