নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে দেশের ফুটবল অঙ্গনের উত্তাপ যেনো বেড়েই চলেছে। ডেলিগেট হওয়া নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি সেই উত্তাপে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তৃতীয় বিভাগের দল এফসি উত্তরবঙ্গের মালিকপক্ষ দাবি করা দুই দলের মাঝে ক্ষমতার দ্বন্দের কারণে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।

এই অশোভন আচরণের কুশীলবদের মাঝে একদল হলো ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ। বসুন্ধরা কিংসের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে আজীবণের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। বর্তমান তিনি কোনো পদে না থাকলেও তারই ভাই মোহাম্মদ রুবেল হাসান নিজেকে ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ডেলিগেট হতে চান। ক্লাবের অন্য আরেক পক্ষ হলো রায়হান কবির নোমি নোমান এবং জালাল হোসেন লাইজু।

নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, মিনহাজ  ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে ক্লাবের মালিকানা নিয়েনেয় নোমি নোমান এবং জালাল হোসেন লাইজু। ঐ সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজের পক্ষ কেউ বাধা দিতে পারেনি বলে তারা দাবিকরেন।

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার হওয়া ক্লাবের একপক্ষের ফুটবল সম্পাদক নোমি নোমানের প্রতিনিধি হিসেবে আজ বাফুফে ভবনে গিয়েছিলেন  শাহাদাত হোসেন জুবায়ের। তার সাথে ক্লাবের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানা যায়। তবে তার কাছে ক্লাবটির সভাপতি জালাল হোসেন লাইজুর স্বাক্ষরিত একটি ফরোয়ার্ডিং লেটার ছিলো; যেখানে তাকে ক্লাবটির আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর ফলে শুনানিতে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

সাক্ষ্য গ্রহণের পরপরই বিপত্তি ঘটে। বাফুফে ভবনের ভিতরে থাকা অবস্থাতে মিনহাজুল ইসলাম মিনহাজ পক্ষের মোহাম্মদ রুবেল হাসানের সাথে  নোমি নোমান-জালাল হোসেন পক্ষের শাহাদাত হোসেন জুবায়েরের সাথে তর্কাতর্কির সূত্রপাত ঘটে। পরবর্তীতে তারা বাফুফে ভবন থেকে বেরিয়ে আসলে দুইপক্ষ একে অপরের সাথে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। সবশেষ পাওয়া তথ্যমতে জানা যায় দুইপক্ষের মধ্যে সংগঠিত উত্তেজনার সমাধান হয়েছে তবে ডেলিটেশনের দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে বিচারাধীন বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

শুনানি শেষে এফসি উত্তরবঙ্গের পক্ষে নোমি নোমানের ডেলিগেট বৈধ বলে রায় দেওয়া হয়। এছাড়া কুড়িগ্রাম ডিএফএ ও সিদ্দিকবাজার জুনিয়র স্পোর্টিং ক্লাবের ডেলিগেটকেও বৈধতা দেওয়া হয়। তবে গোপালগঞ্জ, ফেনী,শেরপুর ও লালমনিরহাট ডিএফএর দুপক্ষের কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকায় তাদের ডেলিগেশন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাদের কোন ডেলিগেটই থাকছেনা।

তবে প্রশ্ন থাকে যে এফসি উত্তরবঙ্গের পক্ষে ডেলিগেট হওয়া নোমি নোমান এই মূহুর্তে জেল হাজতে থাকায় তিনি আসন্ন নির্বাচনে ভোট দিতে হাজির হতে পারবেন কিনা?

Previous articleহত্যা মামলায় গ্রেফতার সালাম মুর্শেদী!
Next articleবাফুফের কাউন্সিলরশিপ হারালো চার জেলা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here