পিটার বাটলার ও বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। রীতিমতো তিল থেকে তালে পরিণত হয়েছে দলের অন্তকলহ। এই অন্তকলহের জের ধরে নিজেদের অবসরের হুশিয়ারি জানিয়ে দিয়েছে কতিপয় সিনিয়র খেলোয়াড়বৃন্দ।
কোচ পিটার বাটলার নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে খেলোয়াড়রা। যেখানে তারা অভিযোগ করে বাটলার চাইলে খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করতে পারতেন। তবে দাবি অনুযায়ী কোচ সেটা করেন নি। এতে করে সমস্যা না কমে উলটো আরো বেড়ে যায়।
এরপর তারা কোচের বাচ্চাসুলভ ভুলের উদাহরণ টেনে ধরেন। সাফের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-০ পিছিয়ে থেকে শেষ মুহুর্তের গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয়। খেলার একেবারে শেষ মুহুর্তে বাংলাদেশ হাতে দুইটা বদলি খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের অভিযোগ অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে কোচ বাটলারের হাতে খেলোয়াড় বদলের কোনো লিস্ট ছিলো না। খেলোয়াড়দের দাবি অনুযায়ী বাটলারের এহেন আচরণ হাস্যকর ও লজ্জাজনক।
এছাড়া খেলোয়াড়দের প্রতি বাজে ব্যবহার বিষয়েও অভিযোগ তুলে সিনিয়র খেলোয়াড়। সাফে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ইঞ্জুরি থেকে ফিরে আসা কৃষ্ণাকে বদলি হিসেবে নামানোর আগে কোচ তার জার্সি নম্বর জিজ্ঞেস করে। প্রথমবার বলতে না পারায় দ্বিতীয় দফায় পুনরায় কৃষ্ণার কাছে তার জার্সি নম্বর জানতে চায় বাটলার। এবারেও তা বলতে না পারায় কৃষ্ণার দিকে তেড়ে যান বলে অভিযোগ তুলেন সাবিনা-ঋতুরা।
তাদের দাবি অনুযায়ী কোচ মাঠে বাইরেও তাদের সাথে বাজে ব্যবহার করেছেন। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছেন। খেলোয়াড়দের পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে মন্তব্যের পাশাপাশি, খেলোয়াড়দের বডি শেমিং করার অভিযোগ তোলা হয়েছে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী পিটার বাটলার মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে দলের সিনিয়র ও জুনিয়র খেলোয়াড়দের মাঝে বিভেদের সৃষ্টি করছেন।
তার আরো অভিযোগ হিসেবে আরো জানান বাটলার জুনিয়র প্লেয়ারদের গুটি হিসেবে ব্যবহার করেন। এতে করে দলের ভিতরে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। বাটলার তাদের নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন সেটাও তারা অস্বীকার করেন।