দুইটি ‘ফিফা টায়ার-১’ আন্তজার্তিক প্রীতি ম্যাচে প্রথমটি মালেশিয়া জাতীয় নারী ফুটবল দলকে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এক দুই নয় একষট্টি ধাপ এগিয়ে থাকা দলটিকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে বাঘিনীরা। গুণে গুণে আধডজন গোলের আঘাতে ধসিয়ে দিয়েছে পুরো মালেশিয়ান শিবিরকে।
প্রথম ম্যাচে অনবদ্য জয় এবং স্বাগতিক হওয়ায় বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাসের পারদ এখনো সর্বোচ্চ পযার্য়ে। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল এখন ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। দেশের মাটিতে ফিফা প্রীতি ম্যাচে সিরিজ জয়ের হাতছানি দিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও সমর্থকদের নিরাস করতে চান না বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তিনি বলেন,
‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে দর্শকদের এন্টারটেইন করার সাথে সাথে, দেশের মানুষকে ভালো ফুটবল খেলা উপহার দেওয়া। এন্টারটেইন ফুটবল মানেই শুধুমাত্র গোল না, পাসিং ফুটবলটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই গোলের চেয়ে পাসিং ফুটবলটাই দর্শকদের বেশী আনন্দ দেয়। ’
পরবর্তী ম্যাচ সম্পর্কে মালেশিয়াকে নিয়ে সাবিনা বলেন,
‘তারা যেহেতু হারছে,পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্ল্যানে পরিবর্তন আসবে। তারা চেষ্টা করবে কিভাবে গোল কম হজম করা যায় এবং কিভাবে আমাদের গোল দেওয়া যায়। ফলে তারা শক্তিশালী হয়েই মাঠে আসবে।’
গত ম্যাচে আধডজন গোলের মধ্যে জোড়া গোলের কান্ডারী ছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন। দ্বিতীয় ম্যাচেও পারফরম্যান্স ধরে রেখে আরো ভালো করার কথা বলেছেন আঁখি। তিনি বলেন,
‘প্রতিটি প্লেয়ারেরই আগামী ম্যাচ নিয়ে মনোযোগ আছে। প্রথম ম্যাচে আমরা খেলেছি,দ্বিতীয় ম্যাচে চাইবো আরো ভালো করতে। সবাই দোয়া করবেন দর্শকরা যারা খেলা দেখতে আসবে তারা যেনো হাসিমুখে ফিরে যেতে পারে এবং আমরাও যেনো হাসিমুখে ফিরে যেতে পারি।’
প্রথম ম্যাচে দারুণ জয় পেলেও প্রতিপক্ষ দলকে এখনো সমীহের চোখেই দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ। তিনি বলেন,
‘তারা আমাদের পুরো ম্যাচটা পর্যবেক্ষণ করছে ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে তাদেরও একটা প্ল্যান থাকবে। আমরাও আমাদের প্ল্যান করে রেখেছি। এতে করে লড়াইটা একশো ভাগই হবে।’
আজ দ্বিতীয় ম্যাচ ও শেষ ম্যাচে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল মুখোমুখি হবে মালেশিয়া জাতীয় নারী ফুটবল দলের। ম্যাচটি শুরু হবে বিকাল ৬:০০ টায়।