ঘরের মাঠে দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হলো বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা। প্রথম ম্যাচে হারের পর এই ম্যাচে জয়টা বাংলাদেশের জন্য খুব দরকার ছিল। সেটিই করে দেখিয়েছে তারা। প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও শেষ মুহুর্তের গোলে মালদ্বীপের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুর দিকে মালদ্বীপের বিপক্ষে চাপ তৈরি করতে থাকে স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচের থেকে তুলনামূলক গুছানো খেলা উপহার দিতে থাকে। তবে সময় গড়াতে গড়াতে সেই ধার হারাতে বসে হ্যাভিয়ার ক্যাবররার শিষ্যরা। শুরুর ভালোটা সময়ের সাথে হারাতে থাকে। প্রথমার্ধের মাঝের সময়টাতে মিস পাস, বল হোল্ড না করতে পারা সঙ্গী হয়ে উঠে। সেটার সুযোগ নেয় মালদ্বীপ। ২৩ মিনিটে ডি-বক্সের সামনে তপু বর্মনের মিস থাকে বল পেয়ে যান ইব্রাহিম হুসেন। এরপর তার পাস থেকে বল নিয়ে গোল করেন আলী ফাসির।
তবে প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে নিজেদের আবারো গুছিয়ে নেয় বাংলাদেশ। মালদ্বীপের রক্ষণে আবারো চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ৪০ মিনিটের সময় সমতা ফেরার জোড়া সুযোগ পায় বাংলাদেশ। প্রথমে রাকিব হোসেনের কাটব্যাক থেকে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের গোলমুখে নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক হুসেন শারিফ। ফিরতি বল থেকে ফাঁকায় থাকা মোরসালিন আবারো শট করেন। তবে তার দিক নিশানাবিহীন শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।
মিনিট তিনেক পরে মুজিবুর রহমান জনির দুর্দান্ত গোলে সমতায় ফিরে বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের পাসে মুজিবুর রহমান জনি কাট করে খানিকটা জায়গা বের করে নিজেই ডানপায়ের শট নেয়। তার সেই শট মালদ্বীপের চারজনের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়ে সোজা জালে প্রবেশ করলে গোল পায় বাংলাদেশ। এতে করে ১-১ গোলের ড্র’তে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
৫০ মিনিটে গোল পেতে পারতো বাংলাদেশ। তবে মালদ্বীপের গোলরক্ষক হুসেন শারিফ কর্ণারের বিনিময়ে গোল বাঁচিয়ে দেন। ৫৩ মিনিটে রিজুবানের হেড মিতুল মারমা আটকে দিলে বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে একেবারে সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন পিয়াস আহমেদ নোভা। শাহরিয়ার ইমনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট মালদ্বীপের গোলরক্ষক লুফে নিতে ব্যর্থ হলে তাকে একেবারে একা পেয়ে যান নোভা। তবে একা পেয়েও গোল আদায় করতে পারে নি এই ফুটবলার।
ম্যাচের যোগ করা সময়ে এসে দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করে বাংলাদেশ। শাহরিয়ার ইমনের কাটব্যাক থেকে বদলি হিসেবে নামা পাপন সিংহের নির্ভুল শট জালের দেখা খুঁজে পায়। তার এই গোলে জয়ের দিশা পায় বাংলাদেশ। পরের সময়গুলোতে বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে পড়তে হয় নি, ২-১ ব্যবধান টিকিয়ে রেখে জয় দিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।