কষ্টার্জিত জয়ে স্বাধীনতা কাপ অভিযান শুরু করেছে বিগ বাজেটের সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। চার বিদেশি নিয়েও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিপক্ষে ২-১ গোলের কষ্টার্জিত জয় পায় জামাল ভুঁইয়ারা।
রোববার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপে গ্রুপ ‘সি’র দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথমার্ধে সেনাবাহিনীকে এগিয়ে নিয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিঠু পরবর্তী সাইফকে ম্যাচে ফেরান এমেকা উগবুগ এবং শেষ দিকে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে গোল উপহার দেন সেনাবাহিনীর মেহেদি হাসান মিঠু।
নতুন কোচের পাশাপাশি নতুন চার বিদেশিকে নিয়ে আশা আলো দেখছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু জামাল ভুঁইয়াদের ম্যাচের শুরুটা ছিল ছন্ন ছাড়া। চতুর্থ মিনিটে মেহেদি হাসানের থ্রু বল থেকে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠেন সেনাবাহিনীর রঞ্জু সিকদার, বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ে চিপ করলেও তা নিচু হওয়ায় রুখে দেন গোলরক্ষক মিতুল হাসান। ৩০তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল সাইফ। বক্সের খানিকটা বাইরে থেকে রুয়ান্ডার ডিফেন্ডার এমেরি বাইসেঙ্গের গড়ানো ফ্রিকিক সাইড বারের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। কিন্তু ৪২তম মিনিটে বিপদ ডেকে আনেন সাইফের ডিফেন্ডার রিয়াদুল হাঁসান রাফি। সেনাবাহিনীর ইব্রাহিম খলিল বক্সের বাঁ দিক থেকে শট নিলে হাতে লাগে রাফির, সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে সেনাবাহিনীকে এগিয়ে নেন জাতীয় দলের ডিফেন্ডার মেহেদী হাসান মিঠু। মিনিট দুয়েক বাদে আবারো আক্রমণে যায় সেনাবাহিনী, ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠেন ইমতিয়াজ রায়হান, তাঁর কাট ব্যাক বক্সের মধ্য থেকে পা লাগান সামিউল হক কিন্তু দুর্বল শট হওয়ায় তা নিজের করে নেন গোলরক্ষক মিতুল হাসান। প্রথমার্ধে আর গোল না হলে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সাইফ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ম্যাচে ফিরে সাইফ স্পোর্টিং। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমফন ওদোহকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন গোলরক্ষক জাফর সরদার। সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে সাইফকে সমতায় ফেরান নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা উগবুগ। ৫৫তম মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সাইফের এমফন। ডান দিক থেকে আক্রমণে উঠেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, বক্সের মধ্যে ঢুকে কাট ব্যাক করলে পোস্টের সামনে থেকে ক্রস বারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠান এই নাইজেরিয়ান। ৭০তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে জামাল ভুঁইয়ার থ্রু পাস ধরে আক্রমণে উঠে বক্সের সামনে থেকে দূরের পোস্টে ডান পায়ের জোরাল শট নেন এমফন ওদোহ, কিন্তু ডান দিকে ঝাপিয়ে আবারো সেনাবাহিনীকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক জাফর সরদার।
কিন্তু ম্যাচের ৮১তম মিনিটে সেনাবাহিনীর কপাল পোড়ান প্রথম গোল করা মেহেদি হাসান মিঠু। ডান দিক থেকে নাসিরুল ইসলামের ক্রস ফেরাতে গিয়ে হেড করে নিজেদের জালেই বল জড়ান জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। ফলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি সেনাবাহিনী।
তবে জয় পেলেও প্রথমার্ধে বেশ ছন্দহীন ফুটবল খেলেছে সাইফ। বিপরীতে অপেশাদার দল হয়েও চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছে সেনাবাহিনী। সাইফের চেয়ে ছন্দময় ফুটবল খেলেও হারের স্বাদ পেল সেনাবাহিনী। এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষেও ২-১ গোলের জয় পায় ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফলে প্রথম ম্যাচ শেষে সমান ৩ পয়েন্ট এবং গোল ব্যাবধানেও সমান হওয়ায় যৌথ ভাবে শীর্ষে রয়েছে সাইফ এবং মোহামেডান। অপরদিকে একই ব্যবধানে হেরে গ্রুপের তলানিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।