তৃতীয় দল হিসেবে স্বাধীনতা কাপের সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করলো ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। প্রথম দুই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে রহমতগঞ্জ ও ঢাকা আবাহনী সেমিতে নিজেদের জায়গা পাকা করে। এবার তৃতীয় সেমি ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেল মোহামেডান।
মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেষ চারে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডান। ম্যাচের শুরু থেকে কোন দলই তেমন গোছানো ফুটবল খেলতে পারেনি। অবশ্য এর পেছনে দায়ী ছিল মুন্সীগঞ্জের ভারী মাঠ অনেকটা দায়ী। তারপরও দুই দলই বিচ্ছিন্নভাবে কিছু আক্রমণ করে গোল আদায়ের চেষ্টা করে। কিন্তু কেউই সফল হয়নি।
মোহামেডানের দুই ফরোয়ার্ড সুলেমান দিয়াবাতে, সানডে ইমানুয়েলের আক্রমনগুলো বারবার প্রতিহত হয় ইয়াসিন খান, নাসির উদ্দিনের কল্যাণে। চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলবারের নিচে অভিজ্ঞ গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানাও দক্ষ হাতে দলকে রক্ষা করে যান। বিপরীতে বলার মত তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। গোলে প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলাও গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয়।
এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায় ম্যাচ। আর এখানে এসেই মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে পুরো ম্যাচে দারুন পারফর্ম করা আশরাফুল রানার। মোহামেডানের উজবেক মিডফিল্ডার মুজাফফর মুজাফফারভের পোস্ট উদ্দেশ্য করে নেওয়া ফ্রি কিক রানার হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়। আর এতেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী। এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেও সফল হয়নি চট্টলার ক্লাবটি। উল্টো ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডিফেন্ডার সাকিব। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের ব্যবধান ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদা-কালো জার্সিধারিরা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর সেমিতে মোহামেডানের প্রতিপক্ষ রহমতগঞ্জ।