ফেডারেশন কাপের উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয় পেয়েছে বসুন্ধরা কিংস। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢাকা আবাহনীকে আজ ৩-১ গোলে পরাজিত করে অস্কার ব্রুজনের দল। এতে টানা তৃতীয়বার টুর্নামেন্টটির ফাইনালে পৌঁছালো তারা।
ম্যাচের শুরু থেকে বসুন্ধরা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল। মধ্যমাঠে ব্রাজিলিয়ান ফার্নান্দেজ আক্রমণের অন্যতম উৎস। আর বাঁ দিক দিয়ে উইংগার রবিনিয়ো বার বারই আবাহনীর ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তাকে রুখতেই সাদ-নাসিরউদ্দীনদের গলদঘর্ম হতে হচ্ছিল।
পক্ষান্তরে আবাহনী সচারচর যে ফুটবল খেলে আসছে সেভাবে খেলেনি। ডিফেন্স জমাট করে একটু দেখে-শুনে খেলেছে মারিও লেমসের দল। ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে জোনাল মার্কিং করে খেলার প্রবনতা ছিলো। কোনোভাবেই প্রতিপক্ষ বক্সের ভিতরে সেভাবে সুযোগ থেকে লক্ষ্যভেদ করতে না পারে। বসুন্ধরা কিংস ১২ মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে রবিনিয়ো জোরালো শট বারে লেগে ফিরে আসলে গোল পাওয়া হয়নি।১৯ মিনিট পর্যন্তই ছিল বসুন্ধরার আধিপত্য।
৩১ মিনিটে আবাহনী প্রথম গোলের দেখা পায়। ডানপ্রান্ত দিয়ে হাইতির কেরভেন্স বেলফোর্টের থ্রু থেকে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ব্রাজিলের স্ট্রাইকার ফার্নান্দো তোরেস আড়াআড়ি শটে স্কোর করেন ১-০। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আবাহনী।
৫১ মিনিটে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। আলমগীর রানার পাস থেকে বক্সের ভিতরে ঢুকে ফার্নান্দেজ এক ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে স্কোর ১-১ করেন। তার নেওয়া জোরালো শটটি ক্রস বারের ভিতরের কানায় লেগে গোললাইন পেরিয়ে ড্রপ খেয়ে বাইরে চলে আসে। আর তখনই রাউল বেসেরা হেডে আবার জাল কাঁপান!নির্ধারিত ৯০ মিনিটের ম্যাচটি ছিল ১-১ গোলে অমীমাংসিত।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফারনান্দেজ বক্সে বল পেয়েও শট নিতে পারেননি। ১১১ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পায় বসুন্ধরা। মতিন মিয়ার ডান প্রান্তের ক্রসে প্রথম ছোঁয়ায় বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন বেসেরা।
শেষের দিকে তোরেসের পাস থেকে আগুয়ান গোলকিপার জিকোকে টপকে গোল করেছিলেন জীবন। তখনই অফসাইডের বাঁশি দেন রেফারি। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল শেষ দিকে। খেলা বন্ধ থাকে ৮ মিনিটের মতো।
এরপর খেলা শুরু হলেও ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি আকাশি-নীল জার্সিধারিরা।১২১মিনিটের সময়ে রবিনিয়োর পাসে ফারনান্দেজ লক্ষ্যভেদ করলে বসুন্ধরার স্কোর হয়ে যায় ৩-১। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্কার বাহিনি।
আগামী ১০ জানুয়ারি ফাইনালে বসুন্ধরার প্রতিপক্ষ সাইফ স্পোর্টিং।