বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ম্যাচ মানেই কানায় কানায় দর্শক ভর্তি স্টেডিয়াম। বাংলাদেশ যেমন ফুটবলে নিজেদের একটু একটু উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি দর্শক সমাগম বাড়ছে ম্যাচগুলোতে। ঘটনার যেমন ইতিবাচক দিক থাকে, বিপরীতে থাকে ক্ষুদ্র একটি নেতিবাচক দিকও। এই নেতিবাচক দিকের সম্মুখীন হতে চলেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গত ২১ শে নভেম্বর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে লেবাননের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে মোরসালিনের দৃষ্টিনন্দন এক গোলে শক্তিমত্তার সূচকে এগিয়ে থাকা লেবানিজদের রুখে দিয়েছিলো বেঙ্গল টাইগার্স। লেবানন রুখে দেওয়ারদিনে ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও। বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তরা আতশবাজি ফাটানোর কারণে স্টেডিয়ামের স্বাভাবিক পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে। এতে করে ফিফা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য বড় ধরনের আর্থিক জরিমানার সম্মুখীন হতে চলেছে বাফুফে।
জরিমানার বিষয়টি নিয়ে কোনো চিঠি প্রকাশ না করা হলেও এই বিষয়টি নিয়ে ফেডারেশনকে অবগত করেছেন বাংলাদেশ ও লেবানন ম্যাচের ম্যাচ কমিশনার সিতি জুয়ারদা মোস্তফা। অবশ্য বাফুফে জরিমানা না করার জন্য ফিফার কাছে অনুরোধও করেছে। ফলে বাফুফে কি আদৌ জরিমানার সম্মুখীন হবে কিনা তার সম্পর্কে জানা যাবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলমান এবং সিলেট স্টেডিয়াম খেলার অনুপযোগী হওয়ার কারণে বাংলাদেশের ম্যাচগুলো কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিংস অ্যারেনায় বর্তমান দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৭-৮ হাজার, তবে বাংলাদেশ-লেবানন ম্যাচে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো ১২ হাজারে। এতে করে ঘটে বিপত্তি। অতি উৎসাহী দর্শক আতশবাজি ফাটিয়ে, বোতল নিক্ষেপ এবং মাঠে প্রবেশ করার মাধ্যমে স্টেডিয়ামে স্বাভাবিক সৌন্দর্যে ব্যাঘাত ঘটায়, যা পুরোপুরি ফিফা নিয়ম বহির্ভূত। এর দায় কোনোভাবে এড়াতে পারেন না বাফুফে।
ফিফার নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ২০ হাজার ডলারের জরিমানার মুখে পড়তে পারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এর আগেও দর্শকদের এহেন কর্মকান্ডের একবার জরিমানার মুখে পড়েছিলো বাফুফে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ-কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দর্শকদের অশোভন আচরণের জন্য বাফুফে’কে ১৩ লাখ টাকার জরিমানা গুনতে হয়েছিলো। ঠিক একই রকম কারণে এবারেও বড় রকমের আর্থিক জরিমানার মধ্যে পড়তে পারে বাফুফে।