মদকান্ডে জড়িত থাকার কারণে বসুন্ধরা কিংস এবং বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পাঁচ ফুটবলাররা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে সাময়িক সময়ের জন্য দল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলো। ফলে বসুন্ধরা কিংসের এএফসি কাপের ম্যাচের পাশাপাশি মালদ্বীপের বিপক্ষে জাতীয় দলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগ খেলতে পারেন কেউই। কিংস কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর পর ধারণা করা হচ্ছিলো মোরসালিন এবং রিমনকে যেহেতু নিষিদ্ধ করা হয়নি, তাদের হয়তো আবারো দলে দেখা যেতে পারে। কিন্তু বাধ সাধলেন কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে নতুন কেউকে দলের সাথে যুক্ত করতে তিনি ইচ্ছুক নন।
বাংলাদেশ ঘরের মাঠে মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে আগামী১৭ ই অক্টোবর। অল্প ৩-৪ দিনের ব্যবধানে দলে নতুন কাউকেই চাচ্ছেন না কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। এতে করে মূল স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের সাথে নতুন যুক্ত হওয়া মোরসালিন কিংবা রিমনের মধ্যে বোঝাপড়ার অমিল দেখা দিতে পারে। যা দলের ক্ষেত্রে মোটেও শুভকর হবে না। এই প্রসঙ্গে জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান জানান, “কোচ চাচ্ছেন না নতুন করে ক্যাম্পে কাউকে নিতে। এই ম্যাচের আগে আমাদের হাতে খুব বেশি সময়ও নেই। যেহেতু আমাদের সামনে ভালো সুযোগ আছে, তাই ম্যাচ প্রস্তুতি ঠিকভাবে নিতে হবে।”
বসুন্ধরা কিংসের সিদ্ধান্ত জানানোর পর বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছিলো বসুন্ধরা যেহেতু তাদের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করে নি তাই কোচ যদি চায় তাহলে মোরসালিন এবং রিমন দলে ফিরতে পারবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মোরসালিনরা ক্যাবররার প্ল্যানে নেই। অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংস কর্তৃপক্ষের আদেশ অনুযায়ী রিমন আর মোরসালিন কিংসের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। মোরসালিন যেহেতু গত কয়দিনেও জাতীয় দলের সাথে প্র্যাকটিস করে নি, ফলে দলের বিবেচনায় তিনি নেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না।