বাংলাদেশের ফুটবলে ছেলে আর মেয়েদের পারফরম্যান্স ও অর্জনে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। নারীরা যেখানে কয়েকদিন পর পরই শিরোপা যেতে সেখানে ছেলেরা জয়ের মুখ দেখে কালেভদ্রে। কিন্তু কেন হচ্ছে এমন? আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ঘাটতিতে ফিটনেসকে বড় কারণ হিসেবে মনে করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। আজ রোববার বিকেলে বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে গণমাধ্যমে আলোচিত কিছু বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়ের পর জাতীয় দল নিয়ে কথা বলেছেন বাফুফে বস। দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তির দৃষ্টিতে,
‘জাতীয় দলের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোতে অনেক সময় মনে হয় ৬০ ভাগ খেলোয়াড় ফিট নয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য।’
কিন্তু আনফিট খেলোয়াড়দের কোচ কেন ডাকেন? এর উত্তরও দিয়েছেন সালাউদ্দিন,
‘কোচের দৃষ্টিকোণ থেকে ঠিক খেলোয়াড়দেরই ডাকে। ঘরোয়া পর্যায়ে যারা ভালো পারফরম্যান্স করেন তারাই জাতীয় দলে ডাক পায়। ঘরোয়া লিগের ফিটনেসের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ফিটনেসের তারতম্য রয়েছে। ফিটনেসের ঘাটতি নিয়ে আপনি লিগ খেলতে পারবেন, কিন্তু আন্তর্জাতিক ফুটবলে তো সেটা সম্ভব নয়।’
তাহলে ঘরোয়া ফুটবলে ফুটবলারদের ফিটনেস কেন আন্তর্জাতিক মানের নয়? ঘরোয়া পর্যায়ে ফিটনেস আন্তর্জাতিক মানের না হওয়ার পেছনে ক্লাবের অনুশীলন ব্যবস্থাকে দায়ী করেন সালাউদ্দিন,
‘একেক ক্লাব একেকভাবে খেলোয়াড়দের তৈরি করে। বসুন্ধরা কিংস ভালো করছে। তাদের পেছনে রয়েছে আবাহনী। অনেকের তো অনুশীলনের মাঠই নেই। ক্লাবের অনুশীলন আন্তর্জাতিক মানের হলেই জাতীয় দলে সেটার প্রভাব পড়বে।’
মার্চের ফিফা উইন্ডোতে ব্রুনেই ও সিশেলসের বিপক্ষে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে কাজী সালাউদ্দিন বলেন,
‘ঐ সিরিজে আমি চাই বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হোক।’
বাংলাদেশ দলকে ঐ সিরিজে প্রস্তুত করার জন্য কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনা চলছে ফেডারেশনের উল্লেখ করে তিনি বলেন,
‘কাতারে আবাসন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বিশ্বকাপের পর ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে। তাই সেখানে ক্যাম্প করার সম্ভাবনা কম। সৌদি আরবের সঙ্গে কথা চলছে। তারা ১ সপ্তাহ সময় নিয়ে জানাবে বলেছে। আশা করছি ভালো খবরই পাবো।’