ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে চাইনিজ তাইপে নারী ফুটবল দলের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। গতকাল (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এই দুই ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাফুফে। ইনজুরিতে দলে নেই সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা ও কৃষ্ণা রাণী সরকার। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন অ-১৯ সাফে নজর কাড়া গোলকিপার ইয়ারজান ও দুই ফরোয়ার্ড প্রীতি এবং সাগরিকা। কিন্তু কদিন আগেই শেষ হওয়া নারী লিগের সেরা ফুটবলার মোসাম্মৎ সুলতানাকে দলে নেওয়া হয়নি!
বাংলাদেশ আর্মি ফুটবল দলের হয়ে নারী লিগে নজর কাড়েন সুলতানা। ১১টি গোল করেন তিনি। শুধু গোল করা নয়, সতীর্থদের দিয়ে গোল করানো এবং খেলা নিয়ন্ত্রণ করে সবার প্রশংসা কুড়ান তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে তাকে ডাকা কিছুটা অবাকই করেছে। লিগের সেরা ফুটবলারকে দলে না নেওয়ায় সংবাদ সম্মেলনে খানিকটা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বৃটিশ কোচ পিটার বাটলারকে। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘আমি এই দলে যাদের নিয়েছি তাদের মূলত তিন মাস ধরেই কাজ করছি। এই দুই ম্যাচের জন্য খুব স্বল্প সময়। আর্মি দলের সুলতানা সহ আরো কয়েকজনের ব্যাপারে আমি অবগত। তাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
সুলতানাকে দলে না নেওয়ায় নারী লিগ আয়োজনের স্বার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। কেনোনা জাতীয় দলের জন্য যোগ্য ফুটবলার খুঁজে বের করতেই আয়োজিত হয় ঘরোয়া লিগ। আর এখানে ভালো করেই জাতীয় দলে জায়গা পান ফুটবলাররা। তবে প্রতিযোগীতাহীন এই নারী লিগ আয়োজনের উদ্দেশ্য কী?
নারী লিগের শীর্ষ চার দলকে বাফুফের কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজিএমে চূড়ান্তভাবে হয়তো তালিকভুক্ত করা হবে। এই চার দল পাবে বাফুফে নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অধিকার। যেখানে গত নির্বাচনের পর ফিফা বাফুফে’কে নির্দেশ দেয় ভোটার সংখ্যা কমানোর জন্য।
তবে কি ৮ ম্যাচের এই লিগের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নিজেদের ভোট ব্যাংক বাড়িয়ে নেয়া? নিজেদের পক্ষে ভোটার সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়ার নতুন পায়তারা করছে বর্তমান কমিটি এমনটাই অনুমান করে নেয়া হয়তো কষ্টসাধ্য নয়।