বাফুফের আয়োজনে চলছে দুই যুব টুর্নামেন্ট অ-১৬ ও অ-১৮ ফুটবল লিগ। কিন্তু তরুণ খেলোয়াড়দের তুলে আনার জন্য আয়োজিত লিগের শৃঙ্খলা রক্ষা একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে মানহীন রেফারিং, আরেকদিকে রেফারিদের সে সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে প্রায় প্রতি ম্যাচেই তর্কে জড়াচ্ছেন খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তারা। সে তর্ক একসময় মাত্রা ছাড়িয়ে জন্ম দিচ্ছে নতুন ঘটনার। এবার তাই কঠোর অবস্থানে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। আজ এক সভায় অ-১৮ লিগের দুই ঘটনায় ২ লাখ টাকা এবং অন্য একটি ঘটনায় ৫ লাখ টাকাসহ মোট ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি!
গত ১ জুলাই অ-১৮ লিগে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার অনুশীলন মাঠে রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। ম্যাচ শেষে রেফারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার খবরও পাওয়া যায়। এই ঘটনায় জড়িত থাকা শেখ রাসেলের টিম ম্যানেজার ইফতেখার রহমান খান এবং হেড অফ ডেলিগেশন হাবিবুর রহমান খানকে ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ এবং ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া এই ঘটনায় জড়িত থাকা শেখ রাসেলের খেলোয়াড় মিলন, সাইফুল, মীর হোসেন ও বলবয় কামালকে কঠোরভাবে সতর্ক এবং খেলোয়াড়দের ২ ম্যাচ ও বলবয়কে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে এই ঘটনায় শেখ রাসেলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে একই দিনে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন মাঠে অ-১৮ লিগের আরেক ম্যাচে একই ধরনের ঘটনা ঘটে। ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচ হেরে রেফারিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ তাকে আক্রমণ করতে উদ্যত হন ব্রাদার্স ইউনিয়নের কোচ সাব্বির আহমেদ পলাশ এবং পাঁচ খেলোয়াড় – জিহাদ, রিমন, মনির, সৌরভ ও ইস্রাফিল। এই ঘটনায় কোচ পলাশকে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ করাসহ জড়িত সবাইকে কঠোরভাবে সতর্ক এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে গত মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও দলবদল শেষ হওয়ার শেষ দিনে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবও। যার কারণে ১১ দল নিয়ে লিগ আয়োজন করতে হয় পেশাদার লিগ কমিটিকে। এই ঘটনায় গোপালগঞ্জকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩-২৪ থেকে অবনমিত করার পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।