জয় দিয়েই এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করলো বাংলাদেশ। মালদ্বীপের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ১৩তম সাফের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জামালদের জয় ১-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে জয়সূচক গোলটি করেন তপু বর্মন।
মালদ্বীপ যাত্রার আগে কোচ অস্কার ব্রুজনের বলা ‘নতুন ট্যাকটিক্স’ এ শুরু থেকেই লংকানদের কোণঠাসা করে রাখে বাংলাদেশ। চিরায়ত ডিফেন্সিভ ও লং পাস নির্ভর ফুটবল থেকে বেরিয়ে এসে পাসিং ফুটবলের দিকে নজর দেয় জামাল-তপু-রাকিবরা। প্রথমার্ধ শেষে ৬৪ শতাংশ এবং ম্যাচ শেষে ৫৮ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখা যায় বড় উদাহরণ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকেই নিজেদের কাছে বল রেখে বিল্ড আপ ফুটবল খেলার চেষ্টা করতে থাকে বাংলাদেশ। মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রন রেখে আক্রমনে উঠার প্রয়াস ছিলো অস্কার ব্রুজনের শিষ্যদের। তবে রক্ষণে দুর্দান্ত ছিলো লংকান ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে অধিনায়ক জামালের নেওয়া শট পোস্টের পাশ দিয়ে যায়। প্রথমার্ধে ম্যাচের সেরা আক্রমণটি হয় ইনজুরি সময়ে। বা প্রান্ত থেকে ইয়াসিন আরাফাতের করা ক্রসে তপু বর্মণের অন টার্গেট থাকা হেড লঙ্কান গোলরক্ষক বাম দিকে ঝাপিয়ে সেভ করেন। গোল শূন্য অবস্থায়ই প্রথমার্ধ শেষ হয়।
বিরতি থেকে ফিরে আবারো বল দখলে রেখে বিল্ড আপ ফুটবলে মনোযোগী হয় বাংলাদেশ। ৫৫তম মিনিটে বিপলুর বাড়ানো বল হাতে স্পর্শ করেন লংকান ডিফেন্ডার ডাকসন। ফলস্বরূপ পেনাল্টির বাঁশি বাজান সিরিয়ার রেফারি। এবং দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় লংকান সেন্টার ব্যাককে। পেনাল্টি থেকে গোল করে বাংলাদেশের দর্শকদের আনন্দ ভাসান তপু বর্মন।
১০ জনের দল নিয়ে শেষ দিকে লড়াই করার আভাস দিলেও বলার মতো তেমন কোনো আক্রমন করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শেষের দিকে ৮৫তম মিনিটে সাদ উদ্দিনের দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচ শেষের আগে ইনজুরি সময়ে লংকান গোলকিপারের ভুলে বক্সের ভেতর ইনডাইরেক্ট ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। তবে তপুর শট চলে যায় ক্রসবারের অনেকটা উপর দিয়ে। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বাংলাদেশের পরিষ্কার আধিপত্য লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশ যেখানে ২০ শটের মধ্যে ৪ টা অন টার্গেট শট নিয়েছে সেখানে ৯টি শট নিয়ে একটিও অন টার্গেটে রাখতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তাই আধিপত্য বিস্তার করেই লংকানদের হারিয়ে এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করলো বাংলাদেশ। আগামী ৪ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বাংলার ফুটবলারদের।