করোনা ভাইরাসে ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বাতিল হয়েছে লীগ ও স্বাধীনতা কাপ। তবে বর্তমানে অন্যান্য দেশে খেলা ফিরেছে। ফিফা ও এএফসি তাদের খেলাগুলোর সম্ভাব্য সময় দিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করেছে। তবে এতোকিছুর মধ্যে এখনও শঙ্কায় সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের খেলা।
অংশগ্রহনকারী দলগুলোর সাথে জুলাইয়ে বৈঠক করে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায় সাফ। তবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা আয়োজন না করতে পারলে হয়তো এইবছর আর মাঠে গড়াবে না টুর্নামেন্টটি। কারণ সামনে রয়েছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। এছাড়াও একটি বড় সমস্যা হচ্ছে স্পন্সর। একটি কোম্পানির সাথে কথা চললেও করোনা ভাইরাসের কারণে আলোচনা পিছিয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে সাফের সেক্রেটারী আনোয়ারুল হক হেলাল একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আমাদের মূল আয়ের জায়গা এই সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ, এর টাকা দিয়েই সাফ চলে দুই বছর। কিন্তু লাগারদারে এএফসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমাদের (সাফ) সঙ্গেও তাদের চুক্তি শেষ হয়েছে ২০১৮ সালে। নতুন একটা কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা চললেও করোনার কারণে এগোয়নি।’
তিনি আরও জানান আগামী মাসে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ওপর সব কিছু নির্ভর করছে, ‘এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই সাফ ফুটবল নিয়ে এখন কারো সঙ্গে কথা বলারও সঠিক সময় নয়। আশা করছি আগামী মাসে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে এবং তখন সব দলগুলোর সঙ্গে কথা বলব। এ ব্যাপারে সাফ সভাপতির সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তিনিও পরামর্শ দিয়েছেন আগামী মাসে আলাপ-আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য। তবে সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হলেও সেপ্টেম্বরে শুরু করা কঠিনই হবে।’
সব কিছু ঠিকভাবে এগিয়ে গেলেও টুর্নামেন্ট নির্ভর করবে স্পন্সরের উপর। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এই বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ আয়োজনে অনুমতি চেয়ে নেয় বাংলাদেশ। কে-স্পোর্টস স্পন্সর হিসেবে আসার কথা থাকলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের আগ্রহী হওয়ার সম্ভাবনা কমই। এই বিষয়ে সাফ সেক্রেটারি জানান, ‘সাফ ফুটবলের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে স্পন্সরের ওপর। কে-স্পোর্টস এই দুর্যোগের মধ্যে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে রাজি হবে কি না বলা মুশকিল। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক অর্থ। আগের প্রেক্ষাপটে এ টুর্নামেন্ট তাদের জন্য অনেক সহজ ছিল। এখন সে রকম আছে কি না, আমি জানি না।’