অনেকটা প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিলো চট্টগ্রাম আবাহনী। কিন্তু হঠাৎই খেলায় ফিরে সব হিসাব উল্টে দিলো পুলিশ এফসি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের আজকের প্রথম খেলায় তিন গোলে এগিয়ে গিয়েও ৩-৩ ব্যবধানে পুলিশ এফসি’র সাথে ড্র করেছে চট্টগ্রাম আবাহনী।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচে শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নেয় মারুফুল হকের শিষ্যরা। ম্যাচে ১৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। মান্নাফ রাব্বির কাটব্যাক সহজেই জালে প্লেস করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিক্সন। এর দুই মিনিট পরই একটি থ্রু বল নিয়ে ওয়ান অন ওয়ানে গোলরক্ষক নেহালকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রাকিব হোসেন। এতে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে সাজঘরে যায় চট্টলার দলটি।
বিরতি থেকে ফিরে আবারো গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনী। খেলার ৪৯ মিনিটে গোলরক্ষক নেহালের ছোঁড়া বল দুরন্ত গতিতে ছুটে এসে নিজের পায়ে নিজে জোরালো শটে আবার গোল করেন রাকিব। এতে এক প্রকার ম্যাচ জয় নিশ্চিতই ভেবে নিয়েছিলো চট্টগ্রাম আবাহনীর সমর্থকরা। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরে এরপরই। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আখমেদভের কর্নার থেকে হেড করে গোল করে ব্যবধান কমান পুলিশ এফসি’র পোডা। ৭৫ মিনিটে আবারও একই দৃশ্য। তবে আখমেদভের এবারের কর্নারে হেড করে গোলদাতা তোরে।
৩-২ গোলে ম্যাচ প্রায় শেষই হয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু ম্যাচ শেষের সংযুক্তি সময়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক হিমেল বল ঠিকভাবে তালুবন্দী করতে না পারলে জালের উদ্দেশ্যে শট নেন কমল। কিন্তু হাত দিয়ে তা ঠেকিয়ে দেন চট্টগ্রামের ডিফেন্ডার মনজুরুর মানিক। এতে তাকে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়, পাশাপাশি পেনাল্টি পায় পুলিশ। স্পট কিক থেকে গোল করে দলের জন্য ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন বাল্লো ফামুসা।
এই ড্রয়ের পর ৮ ম্যাচ থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীর সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। বিপরীতে ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে পুলিশ এফসি।