শুরুতে লিড নিয়ে শেষটা সুন্দর করতে পারলো না বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব। ম্যাচের প্রথমে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচ শেষে ৩-২ গোলের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে পুলিশ এফসিকে।
ম্যাচের ১০ মিনিটে মোনেম খান রাজুর কর্ণার কিক হেডে গোল করে পুলিশ ফুটবল ক্লাবকে লিড এনে দেয় দলের আইভোরিয়ান ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান কোয়াকৌ। ২৯ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফেরায় নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড পিটার থ্যাংক গড। সতীর্থ আরেক নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেন্ডি অগাস্টিনের মাঠের বামপ্রান্ত থেকে করা ক্রসে বলকে বুক দিয়ে রিসিভ করে গোলটি আদায় করে নেয় পিটার। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামার ৪ মিনিটের মাথায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে এগিয়ে দেন কেন্ডি অগাস্টিন। আফগানি মিডফিল্ডার অমিদ পোপালজাইয়ের বাড়ানো লম্বা থ্রু পাস থেকে বলের আয়ত্ত্ব নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক নেহালকে পরাস্ত করে বলকে জালে পাঠিয়ে দেয়।
৬১ মিনিটে মোহাম্মদ আরাফাত হোসেনের লম্বা পাস ও কেন্ডি অগাস্টিনের ক্রসের মেলবন্ধনে পিটার থ্যাংক গড আবারো গোল করলে লিড বেড়ে দাঁড়ায় ৩-১। এই নিয়ে দলের হয়ে ২০ গোল করে লীগে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা তালিকায় সবার আগে আছে এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বক্সের ভেতরে পুলিশ এফসির খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ান কোয়াকৌকে চট্টগ্রাম আবাহনীর অপু ফাউল করলে পেনাল্টি পায় পুলিশ এফসি। কিন্তু ফাউলের ফলে দুইদলের খেলোয়াড় জটলা ও খানিকটা হাতাহাতির মধ্যে জড়িয়ে পড়লে রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর সোহেল রানা ও পুলিশ এফসির ক্রিস্টিয়ান কোয়াকৌকে লাল কার্ড দেখালে দুইদলই ১০ জনে পরিণত হয়।
পরবর্তীতে ৭৮ মিনিটে আদায়কৃত পেনাল্টির স্পট কিক থেকে পুলিশ এফসির হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করে আফগানি ফরোয়ার্ড আমিরুদ্দিন শারিফী। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোল শোধ করতে না পারায় দলের হার এড়াতে পারে নি বাংলাদেশ পুলিশ ফুটবল ক্লাব এবং মারুফুল হকের ব্লু পাইরেটসরা ৩-২ জয় নিয়ে লীগের এবারের মৌসুমের ইতি টানে।