স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররার অধীনে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্বের চেয়ে তুলনামূলক ভালো সময় পার করছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ থেকে ক্যাবররা অধীনে নিজেদের লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে আসছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা। সাফে দীর্ঘ একযুগেরও বেশী সময় পর সেমিফাইনালে খেলা কিংবা আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাসিং ফুটবল খেলা প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা খেলোয়াড়দের লড়াকু মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ।
সাফ এবং আফগানিস্তান সিরিজের সুখকর স্মৃতি মন করে ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ড খেলতে মালদ্বীপ যায় বাংলাদেশ। স্বাগতিক মালদ্বীপ ম্যাচে প্রথম লিড নিলেও আশা হারায় নি বাংলাদেশ। লড়াই করে ম্যাচে ফিরিয়েছে। ১-১ ড্র হওয়া ম্যাচে প্রতিপক্ষের ডেরা থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শিষ্যদের এমন লড়াকু মানসিকতার দেখে খুশি কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররাও।
তিনি বলেন, “শুরু থেকেই আমি চেয়েছিলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা গ্রুপ দাঁড় করাতে। আজ এখন বলতে পারছি, সেটি আমরা পেরেছি। এই দলটি শুধু ১২ বা ১৫ জনের নয়, অন্তত ২৫ জন বা তারও বেশি ফুটবলারের। যারা প্রয়োজনের সময় মাঠে নেমে দেশের জন্য পারফর্ম করতে তৈরি।”
এছাড়া গতকালের ম্যাচে বাংলাদেশ দলে অভিষেক ঘটেছে দুই নতুন ফুটবলারের। তারা হলেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা এবং ডিফেন্ডার শাকিল হোসেন। প্রথম ম্যাচেই তারা কোচের মন জয় করে নিয়েছেন। দুইজনের পারফরম্যান্স দেখে বাহবা দিতে ভুল করেন নি ক্যাবররা।
নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে পারায় খুশি হয়েছেন ক্যাবররা। দলের গুরুত্বপূর্ণ ও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের বাদেই মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামে তার দল। খেলোয়াড়দের কাছে যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। তার বলেন, “সাফের পর খেলার যে মান ধরে রাখা নিয়ে আমি তাগিদ দিয়ে আসছিলাম, আজও সেই মানেই আমরা খেলতে পেরেছি। সেটি দলের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে ছাড়া হওয়াতেই বেশ সন্তুষ্ট।”
ক্যাবররার মনে আনন্দের জোয়ার বইলেও অসন্তুষ্টির সুর শোনা গেছে মালদ্বীপের কোচের মুখে। খেলোয়াড়দের ভুলের কারণে পয়েন্ট হাতছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, “এটি ওপেন গেম ছিল। দুই দল একই রকম আক্রমণাত্মক ছিল। আমরা বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেছি। ওরাও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছে। তবে নিজেদের দোষেই শেষ মুহূর্তে গোলটা আমরা হজম করেছি।”
আগামী ১৭ ই অক্টোবর দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচে নিজেদের মাঠ, চেনা কন্ডিশন এবং প্রথম লেগের কামব্যাকের স্মৃতি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে বাংলাদেশ দলকে। নিজেদের আত্মবিশ্বাস এবং সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে পারলে ফলাফল ইতিবাচক হতে পারে বাংলাদেশ দলের জন্য।