আগামী জুনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া এবং লেবানন। অস্ট্রেলিয়া এবং লেবাননের আসন্ন দুই ম্যাচকে সামনে রেখে স্প্যানিশ মাস্টারমাইন্ড হ্যাভিয়ার ক্যাবররার অধীনে আজ বাংলাদেশের ২৭ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়েছে। ইঞ্জুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তারিক কাজী তার সাথে ফিরেছেন শেখ মুরসালিনও। দল থেকে বাদ পড়েছেন আনিসুর রহমান জিকো।

তারিক কাজীর এবারের মৌসুমটা ইঞ্জুরিতেই কেটেছে। গত মার্চের ফিফা উইন্ডোতে ইঞ্জুরির কারণে দল থেকে ছিটকে যান এই ডিফেন্ডার। ফলে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দলের বাইরে থাকেন তিনি। জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলেও বিশ্রামেই সিজন পারেন তারিক। লীগে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে সর্বসাকুল্যে মাত্র ৬ ম্যাচে মাঠে নামতে দেখা গেছে তাকে, লীগের শেষ ম্যাচ শেখ রাসেলের বিপক্ষে ১৫ মিনিটের জন্য মাঠে নেমে নিজের ফিরে আসার জানান দেন তারিক কাজী। ইঞ্জুরি কাটিয়ে সদ্য ফিরে আসলেও ক্যাবররা তার উপর ভরসা রেখেছেন, ফলে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দলে জায়গা হয় তার।

২৭ সদস্যে দলে জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি শেখ মুরসালিনও। তারিকের মতো তিনিও প্রায় পুরোটা সময় দলের বাইরেই থেকেছেন। কিংসের দলেও ছিলেন অনিয়মিত। তবে মার্চের ফিফা উইন্ডোতে দলে জায়গা না পেলেও জুনের ফিফা উইন্ডোতে ঠিকই দলে জায়গা করে নিয়েছেন শেখ মুরসালিন।

তারিক ও মুরসালিন ফিরলেও দল থেকে একেবারে ছিটকে পড়েছেন বাংলাদেশ দলের একসময়কার ভরসার প্রতীক আনিসুর রহমান জিকো। মদকান্ডে জড়িয়ে প্রায় বেশ কয়েক নির্বাসনে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে শাস্তি কমিয়ে আনা হলে মার্চের ফিফা উইন্ডোতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দলে ডাক পায় জিকো। তবে ডাক পেলেও দলে অবজ্ঞায় দিন কাটান তিনি। তখন গোলরক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন মিতুল মারমা। লেবাননের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মিতুল ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়লেও জিকো খেলার সুযোগ পান নি। মিতুলের পরিবর্তে শ্রাবণকে দিয়ে ম্যাচ খেলান ক্যাবররা।

মুরসালিন ফেরায় দলের এটাকিং লাইনআপে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন দলের কোচ। দল থেকে বাদ পড়েছেন সুমন রেজা ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। দলে জায়গা পেয়েছেন শাহরিয়ার ইমন, রফিকুল ইসলাম, রাব্বি হোসেন রাহুলরা। এছাড়া আক্রমণ ভাগের অন্যতম ভরসার পাত্র রাকিব হোসেন থাকছেন দলের সাথে।

জুনের ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দল:-

গোলরক্ষক:- মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ

ডিফেন্ডার:- বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মণ, রিমন হোসেন, তারিক কাজী, রহমত মিয়া, মেহেদী হাসান, ইসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন, সাদ উদ্দিন ও সুশান্ত ত্রিপুরা।

মিডফিল্ডার:- সোহেল রানা,চন্দন রায়, হৃদয়, সোহেল রানা, মজিবুর রহমান জনি, কাজেম শাহ কিরমানি ও জামাল ভূঁইয়া।

ফরোয়ার্ড:- শেখ মোরসালিন, রাকিব হোসেন, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, শাহরিয়ার ইমন, রফিকুল ইসলাম ও রাব্বি হোসেন রাহুল।

Previous articleজাতীয় দলে নেই লিগ সেরা খেলোয়াড়; নারী লিগ কি তবে ভোটার বৃদ্ধির আয়োজন?
Next article১০০ ধাপ পিছিয়ে থেকেও চাইনিজ তাইপের সমীহ পাচ্ছে বাংলাদেশ!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here