২৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি মৌসুমের ফেডারেশন কাপ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা দুই দিন পিছিয়ে ২৫ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে। তবে হয়নি ভেন্যুর পরিবর্তন। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামেই হবে টুর্নামেন্টটির সকল খেলা।
এবারের স্বাধীনতা কাপে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে তিনটি সার্ভিসেস দলকে খেলায় নিলেও ফেডারেশন কাপে খেলবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১২ দলই। আগামী বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে ফেডারেশন কাপের ড্র অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে দলগুলোকে। এএফসি কাপের টিকেট এই ফেডারেশন কাপ, তাই বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনীর মতো দলের এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিকল্প হিসেবে কিছুই ভাবার সুযোগ নেই।
খেলা মাঠে গড়ানো যেমন সুখবর, খেলা কমলাপুরের টার্ফে হওয়া ততটাই ভয়ংকর। সদ্য সমাপ্ত স্বাধীনতা কাপে প্রত্যেক দলেরই খেলোয়াড়রা প্রায় পরিত্যক্ত এই টার্ফের খেলে ইনজুরিতে পড়েছেন। পাশাপাশি আছে বলের অনিশ্চিত দিক পরিবর্তনও। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুগেছে বসুন্ধরা কিংস; স্বাধীনতা কাপ চলাকালীন তারা ইনজুরির কারণে তপু বর্মণ, তারিক কাজী, জনাথন ফার্নান্ডেজ ও ফাইনালে আতিকুর রহমান ফাহাদের সার্ভিস পায়নি। অন্য ক্লাবগুলোরও কয়েকজন করে খেলোয়াড় ইনজুরির সম্মুখিন হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কেন মাঠ পরিবর্তন করছে না অথবা ক্লাবইগুলোই কেন এতোটা ঝুঁকি নিয়ে নিজ খেলোয়াড়দের এখানে খেলাচ্ছে, উত্তরটা যেন এক রহস্য!