এএফসি অ-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গুয়ামের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বাংলাদেশ। ভিয়েতনামে অনুষ্ঠিত হওয়া ম্যাচে দুইবার লিড নিয়েও শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি মারুফুল হকের শিষ্যরা। তাইতো ফিফা র্যাংকিংয়ে ২০০-র পরে থাকা দেশটির বিপক্ষেও জয় পাওয়া হয়নি যুব সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের শুরুতেই জালের দেখা পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটে আসাদুল মোল্লার বাড়ানো বল আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন মিরাজুল ইসলাম। এরপর অবশ্য গুয়াম আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। তবে গোল শোধ করতে পারেনি তারা। বাংলাদেশও জবাব দেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু আক্রমণে তেমন ধারালো হতে পারেননি যুবারা। তাই ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট দেখায় গুয়াম। তবে লিড ধরে রেখে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে বক্সের ভেতর হ্যান্ডবল হওয়ায় পেনাল্টি পেয়ে যায় গুয়াম আর স্পট কিক থেকে সমতায় ফেরান সুজুকি। এরপর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ৮৮তম মিনিটে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ভুল পাস থেকে বল পেয়ে আরেক ডিফেন্ডার ও গোলকিপারকে কাটিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন মঈনুল ইসলাম মঈন।
তবে জয়ের স্বপ্ন মুহূর্তেই মিইয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ে আবারো সমতায় ফেরে গুয়াম। বা প্রান্ত দিয়ে থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে দারুন চিপ করে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন কার্টিস। লাফিয়ে উঠেও বলের ছোঁয়া পাননি বাংলাদেশের গোলকিপার মাহীন। এরপরও জয়ের সুযোগ ছিল। শেষ বাঁশি বাঁজার আগ মুহূর্তে ফ্রি কিক থেকে ভেসে আসা বল ফাঁকা পোস্ট পেয়েও জালে পাঠাতে পারেননি বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড ইফতেশাম রহমান জিদান। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয়।
এই ড্রয়ের ফলে মূল পর্বে খেলা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের। কারণ প্রথম ম্যাচে সিরিয়ার কাছে ৪-০ গোলে হেরেছিল যুবারা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর স্বাগতিক ভিয়েতনাম ও ২৯ সেপ্টেম্বর ভুটানের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে খেলতে হলে গ্রুপের শীর্ষ দুইয়ে থাকতে হবে।