এশিয়ার মঞ্চে এখনো প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি গেল কয়েকবছরে বাংলাদেশের সফলতম ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। এবার তাই এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের আগে বেশ বড় স্বপ্ন ছিল দলটির। কিন্তু এবার আরো বেশি হতাশ করলো তারা। জোড়াতালির দল নিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে কোয়ার্টার ফাইনাল নয়, আবারো বাড়ি ফেরার টিকিট পেল ভ্যালেরিউ তিতা শিষ্যরা।
এখনো ঘরোয়া ফুটবল শুরু না হওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলা ছাড়াই নতুন কোচের অধীনে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে খেলতে যায় তারা। তার উপর দলের সবচেয়ে বড় ভরসা রবসন রবিনহোর সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তাকে ছাড়াই খেলতে হয়। এছাড়া অফ সিজনে ১২ কেজি ওজন বাড়িয়ে আসা দলের মিডফিল্ডের চালিকাশক্তি মিগুয়েল দামাসেনাকেও সময় মত প্রস্তুত করা যায়নি। তাছাড়া তারিক কাজী, বিশ্বনাথ ঘোষ, নতুন রিক্রুট জারেদ খাসার ইনজুরি আরো সমস্যা বাড়িয়েছে। তারপরও দলে যারা ছিলেন তাদের নিয়ে একাদশ সাজানো এবং সুযোগ পাওয়াদের বাজে পারফরম্যান্স অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লেবানিজ ক্লাব নেজমেহর বিপক্ষে সাদ উদ্দিনের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ হারায় নিজেদের কিছুটা দুর্ভাগা মনে করতেই পারে কিংস। আশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু এবার হতাশার মাত্র বেড়েছে চারগুণ। ভারতীয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গল কিংসের জালে বল পাঠিয়েছে গুণে গুণে চারবার। আর এতে এক ম্যাচ আগেই কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার স্বপ্ন বিসর্জন দিয়ে বাড়ি ফেরার টিকিট নিশ্চিত করতে হলো কিংসকে।
ম্যাচের সময় যখন মাত্র ৪০ সেকেন্ড, তখনই নন্দশেকরের ক্রসে কিংসের জালে বল পাঠান দায়মান্তাকোস। এরপর ম্যাচের ২০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সৌভিক। এর মিনিট ছয়েক পর স্কোরশিটে নাম তুলেন নন্দশেকর। এরপর ৩৪ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন আনোয়ার আলী। প্রথমার্ধে অবশ্য আর ব্যবধান বাড়েনি।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মিগুয়েল। তখন কিংসের আক্রমণের ধার বাড়ে। তবে গোলের বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে আর ব্যবধানও কমানো যায়নি। শেষ পর্যন্ত সাবেক গুরু অস্কার ব্রুজনের বর্তমান দলের কাছে ৪-০ গোলের লজ্জার হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কিংসের। এই হারে দুই ম্যাচে এখনো কোন পয়েন্ট যোগ করতে পারল না কিংস, আর আনুষ্ঠানিকভাবে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হলো!