বাংলাদেশের ফুটবলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে বাফুফে এলিট একাডেমি প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। গেল কয়েকবছর ধরে বয়সভিত্তিক দলগুলোতে খেলা প্রায় সব খেলোয়াড়ই ছিল এই এলিট একাডেমির। এবার এলিট একাডেমির জন্য প্রতিভাবান ফুটবলার খুঁজে বের করতে সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা একাডেমিগুলোর মধ্যে বাফুফের নিবন্ধিত ১৬৯ টি একাডেমি নিয়ে আয়োজন করা হয় বাফুফে একাডেমি চ্যাম্পিয়নশিপ।
এবার এই প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ে ভালো করে কোচদের নজর কাড়া ২০০ জন প্রতিভাবান ফুটবলারকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাফুফে ন্যাশনাল ট্রায়াল।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এই ট্রায়াল। যেখানে জেলা পর্যায় থেকে বাছাইকৃত সেরা ২০০ জন প্রতিভাবান ফুটবলার অংশ নেন। এর আগে ট্রায়ালের উদ্বোধন করেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ, বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান, সাইফুর রহমান মনি, একেএম হুমায়ুন কবির। এছাড়াও ফিফা টেকনিক্যাল কনসাল্টটেন্ট চকি নেয়মা, বাফুফে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু, এলিট একাডেমির কোচ পিটার বাটলার ও বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।
তৃণমূল থেকে আরো বেশি পরিমাণে প্রতিভাবান ফুটবলার তুলে আনার ইচ্ছে থাকলেও নিজেদের সাধ্যের সীমাবদ্ধতার কারণে সেটা হচ্ছে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তারপরও সীমিত সাধ্যের মধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,”আমরা সবসময় বলে আসছি, যে আমাদের সাধ্যের মধ্যে রেখেই সাধটাকে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেজন্য আমাদের সাধ্য যা আছে, আমাদের অ্যাকোমোডেশন (থাকার ব্যবস্থা) যেটুক আছে সেটুকু নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের নাই নাই বলে আমরা পিছিয়ে যেতে চাই না। আমাদের যা আছে তাই নিয়ে এগিয়ে যাবো।”