আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়া এবং ২৭ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে ফিফা স্বীকৃত আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। দুটি ম্যাচই হবে প্রতিপক্ষের মাঠে। এই ম্যাচ দুটিকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দল ঘোষণা করে বাফুফে। এরপর শনিবার থেকে বাংলাদেশ পুলিশ এফসির মাঠে (এপিবিএন) অনুশীলন শুরু হয় বাংলাদেশের। কিন্তু বাকি ২৬ ফুটবলার যথাসময়ে ক্যাম্পে যোগ দিয়ে অনুশীলন করলেও, শুক্রবার ক্যাম্পে এসে রিপোর্টিং শেষ করে আবারো ফিরে যান ফরোয়ার্ড সুমন রেজা। কেননা সুমন ছুটি পাচ্ছিলেন না তার কর্মক্ষেত্র বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে। এরপর গত দুইদিন ধরে ছুটি নেওয়ার চেষ্টা করলেও ছুটি মিলেনি সুমনের। বাংলাদেশের প্রীতি ম্যাচের সময় আন্তঃবাহিনী ফুটবল প্রতিযোগিতা থাকায় মূলত সুমনকে জাতীয় দলের জন্য ছাড়তে চায়নি বিমান বাহিনী। কিন্তু নাছোড়বান্দা সুমনের লক্ষ্য জাতীয় দল। তাইতো বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর চাকরি ছেড়ে যোগ দিয়েছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।
আজ (সোমবার) তৃতীয় দিনের মতো হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে অনুশীলন করেছে ফুটবলাররা। গতকাল রাতে টিম হোটেলে ওঠার পর আজই দলের সঙ্গে প্রথম অনুশীলন করেছেন সুমন। সরকারি চাকরি ছেড়ে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবলে পুরোপুরি মনোযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত কে জীবনের বড় একটা সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বসুন্ধরা কিংসের এই ফরোয়ার্ড। ২০১৪ সালে বিমান বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর ৮ বছরের মাথায় পদত্যাগপত্র দিয়ে বিষণ্ন লাগছে তার, ‘খুব খারাপ লেগেছে, অসহায়ত্ব অনুভব করেছি। সবাই ক্যাম্পে আছে, কিন্তু আমি যেতে পারছি না। জাতীয় দলের ব্যাপারটা অন্যরকম অনুভূতি কাজ করে। এখান থেকে বাদ পড়ার শঙ্কার মধ্যে ছিলাম, তাই ঠিকমতো ঘুম হচ্ছিল না। আমি আসলে কী করবো, চাকরি করবো কি না, অনুমতি দেবে কী- দেবে না, এসব নিয়ে ভাবছিলাম।’
শুধু এবারের ক্যাম্পের জন্য ছুটি না পাওয়ার জন্য নয়, বিমানবাহিনীর চাকরি ও ক্লাব-জাতীয় দল একসঙ্গে চালিয়ে নিতে পারছিলেন না সুমন। তাই চাকরি ছাড়ার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান তিনি, ‘আমার জীবনের দুর্ধর্ষ (বড়) সিদ্ধান্ত এটা। কেউ সরকারি চাকরি ছাড়তে চান না। আমার ক্ষেত্রে দুটো একসঙ্গে চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই সিদ্ধান্ত নিতে আমার জন্য কঠিন হয়েছে।’
তবে অব্যাহতি পত্র দিলেও সেটা এখনো গ্রহণ করেনি বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে সুমন বলেন, ‘বিমান বাহিনীর প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার অব্যাহতি পত্র এখনো গ্রহণ হয়নি। যখন এটা গ্রহণ করা হবে তখন আমি তাদের বাইরে চলে আসবো। এখন পর্যন্ত আমি তাদের (বিমান বাহিনীর) সদস্য।’