বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ পথচলার সমাপ্তি টেনেছেন কাজী সালাউদ্দিন। টানা চার মেয়াদে বাফুফে সভাপতির পদে থাকার পর এবার আর নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে বাফুফে থেকে সরে গেলেও দেশের ফুটবলের উন্নতি কামনা এবং নতুন কমিটিকে সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাফুফে সভাপতি হিসেবে আজই শেষ সভা ছিল কাজী সালাউদ্দিনের। তবে সভায় ২০২৫ সালের বাজেট অনুমোদন হয়নি বলে আরেকটি সভায় বসতে হবে নির্বাহী কমিটিকে। তাই আরেকটি সভায় সভাপতিত্ব করবেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে আজকের সভায় বিদায়ী সুর ছিল তার কণ্ঠে। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাফুফে সদস্য সত্যজিৎ দাস রুপু।
আজকের সভায় বাফুফে নির্বাচনের কাউন্সিলর তালিকা অনুমোদন করা হয়েছে। কাউন্সিলর তালিকা যাচাই-বাছাই করে ১৩৩ জনের নাম বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে উত্থাপন করা হয়েছিল। এই তালিকাই অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এছাড়া গঠন করা হয়েছে নির্বাচন কমিশন ও আপিল কমিটি।
অক্টোবরের ২৬ তারিখ নির্বাচনের পর নির্বাচিত কমিটি দায়িত্ব নেবে। আর তার কদিন পরেই নভেম্বরের উইন্ডোতে বাংলাদেশ দল প্রীতি ম্যাচ খেলবে। তাই নতুন কমিটির কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখতে চায় বর্তমান কমিটি। নভেম্বর উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাফুফের আজকের সভায়। এছাড়াও এএফসির অর্থায়নে বাফুফে ভবনে সংস্কার ও মিডিয়া সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্তের কথাও জানান সত্যজিৎ দাস রুপু।
বাফুফে সভাপতি হিসেবে কাজী সালাউদ্দিনের বিদায়ী সভা (আরো একটি সভা করবেন তিনি) সম্পর্কে সত্যজিৎ দাস রুপু বলেছেন, ‘সভাপতি প্রারম্ভিক বক্তব্যে দীর্ঘ ১৬ বছর দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কথা বলেছেন। তাকে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, কাজ করতে গেলে ভুলত্রুটি হয়। কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেই সাথে নতুন যে কমিটি দায়িত্ব নেবে তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।’
এর সঙ্গে তিনি দেশের ফুটবলের উন্নতি কামনা করেছেন উল্লেখ করে রুপু আরো বলেন, ‘সভাপতি বলেছেন, সভাপতির চেয়ারে বসে তিনি ফুটবল উন্নয়নের চেষ্টা করেছেন। ফুটবল ছাড়া তার আর কোনো কিছুর সাথে সম্পৃক্ততা ছিল না। তিনি দেশের ফুটবলের উন্নতি কামনা করেছেন।’