দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর “সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ”। যা “দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ’ নামেও পরিচিত। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল জিতেছিল। পরের বছর খেলেছিল আরো একটি ফাইনাল। এরপর থেকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সূচক ধাপে ধাপে নিচে নামতে থাকে।
শেষ চারটি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বড্ড হতাশার। বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। দরজায় কড়া নাড়ছে আরেকটি সাফ টুর্নামেন্ট, যার পর্দা উঠবে ১ অক্টোবর মালদ্বীপে। সেই উদ্দেশ্যেই আজ দুপুরে মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।
দেশ ছাড়ার আগে জামাল ভুঁইয়ার কন্ঠে আত্মবিশ্বাসের সুর!‘শেষ কয়েকদিন আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে চায়। যাতে টুর্নামেন্ট থেকে ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারি। আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ জিতে ফাইনালে যেতে চাই। আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী এবং আশা করি আমরা এই টুর্নামেন্ট থেকে কিছু সাফল্য নিয়ে আসতে পারব।’
সাফের আগে হঠাৎ করেই কোচ পরিবর্তন ইস্যুতে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নন জামাল। অস্কার ব্রুজনের খেলার ধরণ সম্পর্কে জামাল বলেন, ‘অস্কার শুরুর দিনেই কিভাবে খেলব বা এভাবে খেলতে চাই সেটা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে এবং এটাও স্পষ্ট করেছে যে, খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কী চায়, যা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অস্কারের কৌশলে মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে না। যে কৌশলে লিগে খেলায়, অনেকেই সেটায় খেলেছে। তাই মনে করি না কোনো সমস্যা হবে।’
এবারের সাফে নেই গ্রুপ পর্ব। পাঁচ দলের এ টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে খেলবে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল যাবে ফাইনালে। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। র্যাংকিংয়ে শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে থাকা লাল-সবুজের দল জয় দিয়ে মিশন শুরু করতে আশাবাদী।