বিশ্বকাপ বাছাইয়ের নতুন সূচি ঘোষনা করা হয়েছে। এর পরপরই তোড়জোড় শুরু হয়েছে ফুটবল অঙ্গনে। কোচ জেমি ডে ইতিমধ্যে নতুন পরিকল্পনা পাঠিয়েছে ফুটবলারদের জন্য। ফুটবলাররা সব ভুলে আবারো নতুন করে প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় দলের জন্য।
এএফসির নতুন সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৮ অক্টোবর এবং প্রতিপক্ষ শক্তিশালী আফগানিস্তান। অক্টোবরের ২মাস আগে মাঠে নামতে হবে ফুটবলারদের। অর্থাৎ আগষ্টে নিজেদেরকে মাঠে প্রস্তুত করতে হবে ফুটবলারদের। মার্চে লীগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর খেলার মধ্যে নেই দেশের ফুটবলাররা। বন্ধের মধ্যে অনেকে নিজের বাসায়। বা গ্রামে এবং যারা ক্লাবে ছিলেন সব ফুটবলারই ফিটনেস ট্রেনিং করেছেন। কিন্তু তা কতটুকু কার্যকরী হয়েছে তা ফিটনেস টেস্ট থেকেই বোঝা যাবে। কোচ জেমি ডে অন্তত দেড় মাস আগে নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করতে চান। জাতীয় দলের কমিটির সঙ্গে ইতিমধ্যে বৈঠক করেছেন কোচ। তিনি চাচ্ছেন ঈদের আগেই একবার প্রেকটিস সেশন শুরু হোক। কিন্তু কমিটির সবাই নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। কমিটির প্রধান তাবিদ আউয়াল রাজি হলেও বাফুফে থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
৮অক্টোবর আফগানিস্তানের সাথে লড়বে বাংলাদেশ জাতীয় দল এবং ১৭ নভেম্বরের মধ্যে নিজেদের সব ম্যাচ খেলে ফেলবে বাংলাদেশ। মার্চ থেকে মাঠে না থাকা ফুটবলারদের নিয়ে দল করা একটি চ্যালেন্জ হতে পারে জাতীয় দলের বর্তমান কোচ জেমি ডের জন্য। তিনি জানান, আগের প্রাথমিক দলে যারা ছিলো তাদের উপর নজর তিনি বেশি রাখবেন। ৩৬ জন ফুটবলারকে আগে বাছাই করা ছিলো তাদের নিয়ে একটি গ্রুপও আছে। ৩৬ জন এই ফুটবলারের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলো কোচিং টিম। এদের থেকেই জাতীয় দল গঠন করার কথা জানিয়েছেন কোচ জেমি ডে। ৩৬ জনের মধ্যে সর্বশেষ চারজনকে যোগ করেন কোচ জেমি ডে। ফেডারেশন কাপের খেলা দেখে তাদের নিয়েছেন তিনি। চারজন হলেন পুলিশ এফসি থেকে বাবলু এবং রাসেল, উত্তর বারিধারা ক্লাবের সুমন রেজা এবং বসুন্ধরা কিংসের তারিক কাজী। এদের সবাইকে নিয়ে আশাবাধী কোচ এবং ম্যানেজম্যান্ট। তারিক কাজী ফেডারেশন কাপে তেমন একটা সুযোগ না পেলেও তার উপর নজর ছিলো কোচের এবং ভালো মনে হয়েছে। তিনি মনে করেন ক্যাম্পে তারিক কাজী থেকে ইতিবাচক কিছু পাওয়া সম্ভব।
আবারো দেশের ফুটবল জেগে ওঠার অপেক্ষায়। নতুন করে তৈরির অপেক্ষায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।