বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে বেশ পরিচিত একটি নাম মারুফুল হক। বাংলাদেশ তো বটেই দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোচ হিসেবে ২০১৫ সালে উয়েফা এ লাইসেন্স অর্জন করেন তিনি। ২০০৮ সালে মোহামেডানের হয়ে ঘরোয়া ফুটবলে কোচ হিসেবে অভিষেক হয় মারুফুল হকের। দীর্ঘ ১৫ বছরের তিনি মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা, শেখ রাসেল, শেখ জামাল, চট্টগ্রাম আবাহনী, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল এবং অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দায়িত্বও পালন করেছেন। সবশেষ ২০২২-২৩ মৌসুমে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে আসন্ন ২০২৩-২৪ ফুটবল মৌসুমে কোচ হিসেবে নয়, মারুফুল হককে দেখা যাবে নতুন ভূমিকায়!
নতুন মৌসুমে নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন মারুফুল হক। এক মৌসুম পর আবারো ফিরছেন চট্টগ্রাম আবাহনীর ডেরায়, তবে কোচ হিসেবে নয়! ৫৪ বছর বয়সী এই কোচকে টেকনিক্যাল এডভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে চট্টলার ক্লাবটি। নতুন দায়িত্ব সম্পর্কে মারুফুল হক জানান এই মৌসুমে কোচিং করাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। পরে চট্টগ্রাম আবাহনী ম্যানেজমেন্টের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং তাদের অনুশীলনের ভেন্যু বুয়েট মাঠ নিজের বাসা থেকে কাছে হওয়ায় টেকনিক্যাল এডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালনে সম্মতি জানান তিনি।
এদিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যানেজার আরমান আজিজ জানান, ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য নাকি তাদের দল গঠনেরই কথা ছিল না! তাইতো দলবদল শেষের ২ দিন আগে দল গুছানোর কাজে নামে ক্লাবটি। ফলে মাত্র ৩ বিদেশি ফুটবলার দলে ভিড়িয়েছে তারা। তারপরও বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ও তরুণ ফুটবলার দলে ভেড়াতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে চট্টগ্রাম আবাহনী। নতুন মৌসুমে নতুন কোচ মাহবুবুল হক জুয়েলের অধীনে খেলবে চট্টগ্রাম আবাহনী। মারুফুল হকের ভাষ্য মতে, অনুশীলন, দল নির্বাচন সব কিছু কোচরাই করবেন। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পরামর্শ বা মতামত দেবেন তিনি। এর পাশাপাশি অনুশীলন না করালেও অনুশীলনে উপস্থিত থাকবেন তিনি।