বাংলাদেশ নারী দলের টানা দ্বিতীয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের অন্যতম বড় কারিগর ইংলিশ মাস্টারমাইন্ড পিটার বাটলার। তবে শিরোপা জয়ের পরই নারী দলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। এর কারণ মূলত দলের ভেতর তৈরি হওয়া অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তারপরও সাফল্যের মূলে থাকা এই কোচকে ছাড়তে চায় না সমর্থকরা। কিন্তু পিটার বাটলার নিজে কি ভাবছেন?

মূলত বাফুফে এলিট একাডেমির জন্য পিটার বাটলারকে নিয়োগ দেয় বাফুফে। এরপর নারী দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। তবে তার অধীনে দলে সিনিয়র-জুনিয়র সিন্ডিকেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইস্যু এবং দলে বাইরের কারো হস্তক্ষেপ খবরের শিরোনাম হয়। যদিও মাঠের খেলায় এর খুব একটা প্রভাব পড়েনি। তারপরও সাফের পরই দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি। সাফের মাঝপথেই বাফুফের দায়িত্বে এসেছেন নতুন কমিটি। তাই নতুন সভাপতি তাবিথ আওয়াল ও অন্যান্য কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে বাটলার বলেছেন, “নতুন সভাপতির সঙ্গে আমার এখনও আলোচনা হয়নি। তিনি যদি দায়িত্ব চলমান রাখতে বলেন, তখন ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেব।”

বাফুফের সঙ্গে বাটলারের চুক্তি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সময়ের দিক বিবেচনায় আড়াই মাসেরও একটু বেশি সময়। তবে নতুন চাকরি বা প্রস্তাব নিয়ে এখনই খুব উদ্বিগ্ন নন এই ইংলিশ কোচ। তিনি বলেন, “আমি চাকরি খুঁজছি না। বাফুফের সঙ্গে চুক্তি শেষ বা আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।”

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ দেশে ফিরবেন বাটলার। ছুটি কাটিয়ে সপ্তাহ দুয়েক পর ফেরার কথা জানান তিনি, ‘আমার একটু পারিবারিক কারণে ইংল্যান্ড যাওয়া প্রয়োজন। সেটা সপ্তাহ দুয়েকের জন্য।’

অস্থিরতা তৈরি হলেও বাফুফের সঙ্গে চুক্তিকে সম্মান করছেন বাটলার। তাই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে নতুন কিছু ভাবছেন না তিনি, “আমার সঙ্গে ফেডারেশনের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে। পেশাদার কোচ হিসেবে আমি সেই সময় পর্যন্ত কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।”

Previous articleনারী ফুটবল নিয়ে ইমরুল হাসানের আশার বাণী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here