গত বছর নারীদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর আর মাঠে নামার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। প্রায় ১০ মাস বিরতির পর বৃহস্পতিবার হোম ভেন্যুতে নেপালের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে ড্রয়েই শেষ হয়েছে সাবিনাদের দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে ফেরার পালা। আর প্রথম ম্যাচ ড্র হওয়ায় সিরিজ কার, তা ১৬ জুলাইয়ের ম্যাচে নির্ধারণ হবে।
এদিকে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলার আগে শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সাবিনাদের উৎসাহ দিতে টিম হোটেলে গিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এ সময় খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেন তিনি। পাশাপাশি দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে বোনাসও দেন বাফুফে সভাপতি। নারীদের ফুটবলে সাফল্যের অন্যতম কারিগর গোলাম রাব্বানী ছোটনের দায়িত্ব ছাড়ায় আপাতত সহকারী কোচ মাহাবুবুর রহমান লিটুর অধীনে রয়েছে মেয়েরা। অনেকেই বলছেন নেপালের বিপক্ষে ধারহীন পারফরম্যান্স ছোটনের না থাকারই প্রভাব। এ বিষয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছেন,
‘কোচ পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে। কোচ ভালো না করলে কোচ থাকবে না, খেলোয়াড় ভালো না করলে বাদ পড়বে। আমার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ফুটবল বিশ্বে কারও জন্য কোনও স্থায়ী জায়গা নেই। এখানে কোচ, খেলোয়াড় আসবে যাবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার।’
ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে বাফুফে সভাপতি আরও বলেন,
‘শেষ ম্যাচে মেয়েরা ভালো খেলেছে। অনেক দিন পর খেলার কারণে ওদের একটু সমস্যা হয়েছে। আমরা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি, তাই তাদের আরও বেশি সিরিয়াস হতে হবে। ওদের বলেছি, বাইরে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটা নিয়ে না ভেবে ফুটবলে মনোযোগ দিতে।’
নারী দলের কোচ নিয়োগ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেছেন,
‘আমাদের দেশে প্রধান কোচের বিকল্প নেই। নারী ফুটবলে যারা এশিয়া ও বিশ্বমানের জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে কোচ আনার পরিকল্পনা রয়েছে।’
নারী ফুটবলে অনেক দেশে নারী কোচ কাজ করে। বাফুফে সভাপতি লিঙ্গের চেয়ে যোগ্যতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন,
‘নারী বা পুরুষ কোনো বিষয় নয়, যিনি যোগ্যতাবান কোচ তাকেই আমরা দায়িত্ব দেব।’
এদিকে আগামীকাল নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। যথারীতি কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হবে ম্যাচ। এই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশের।