বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল টানা দুইবার দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হলেও ঘরোয়া লিগের দুর্বল অবস্থা ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী লিগের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে আজ এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সভায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের কয়েকটি ক্লাব এবং গত নারী লিগে অংশ নেওয়া দলগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নারী লিগ সাধারণত এক থেকে দেড় মাসে শেষ হয়, যেখানে খেলোয়াড়রা মাত্র ৭-৮টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। ফিফার নির্দেশনা অনুসারে লিগের দৈর্ঘ্য ছয় মাস এবং ম্যাচ সংখ্যা ৯০ হতে হবে। বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানান,
‘ফিফার স্বীকৃতি পেতে হলে এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। ক্লাবগুলো আর্থিক সহায়তার জন্য ফেডারেশনের কাছে আবেদন করেছে।’
ক্লাবগুলোর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা অনুদানের দাবি করা হয়েছে। বাফুফের আর্থিক সহায়তা ছাড়া দীর্ঘমেয়াদী লিগ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তবে বাফুফের আর্থিক সক্ষমতা দুর্বল, যা এই দাবি পূরণের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ সভা শেষে বলেন,
‘ক্লাবগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের পুল করার প্রস্তাব এসেছে। এতে দলগুলো প্রায় সমশক্তির হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার মান বাড়বে।’
আজকের সভায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম আবাহনী, বাংলাদেশ পুলিশ ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি উপস্থিত ছিল। তবে দেশের শীর্ষ ক্লাব বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী এবং মোহামেডান সভায় অংশ নেয়নি। মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,
‘আমি দেশের শীর্ষ দশটি ক্লাবকে ডেকেছি। ক্লাবগুলো স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে তারা খেলবে কি খেলবে না। তবে যারা অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, তাদের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেই লিগে নামতে হবে।’
সভায় অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তাব এবং সুপারিশ বাফুফে সভাপতি এবং মার্কেটিং কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর লিগের সময়সূচি ও অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলোর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান কিরণ। ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে ফিফার নির্দেশনা মেনে লিগ আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।