ঘরোয়া ফুটবল ক্যালেন্ডারে প্রিমিয়ার লিগের পরই অবস্থান ফেডারেশন কাপের। দেশের ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ এই আসরটি নিয়ে এবার যেনো চলছে অদ্ভুত এক ‘সার্কাস‘!
সমস্যার মূল কারণ কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফ। এই টার্ফে খেলতে স্বাধীনতা কাপের আগে থেকেই অসম্মতি জানায় বসুন্ধরা কিংসসহ আরো কয়েকটি ক্লাব। তবে স্বাধীনতা কাপ কমলাপুরে খেললেও ফেডারেশন কাপ কমলাপুরের টার্ফে খেলবে না জানিয়ে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। এর পাশাপাশি ফেডারেশন কাপের আগে বিশেষ কোনো দলকে সুবিধা দিতে কয়েকবার ফরম্যাটে পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও নিজেদের চিঠিতে উল্লেখ করেছে বসুন্ধরা কিংস। বসুন্ধরা কিংস ছাড়াও মাঠের কারণে ফেডারেশন কাপে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও উত্তর বারিধারা। উদ্বোধনী দিনেই ম্যাচ ছিলো বসুন্ধরা কিংস এবং উত্তর বারিধারার। দুই দলের কোনো দলই মাঠে না আসায় মাঠে গড়ায়নি একটি ম্যাচও। ফলে ওয়াকওভার পেয়েছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ ও ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
তবে ফেডারেশন কাপে দলগুলোর অংশ না নেওয়া সম্পর্কে পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘কে সামনে খেলবে কি খেলবে না আমাদের জানা নেই। যারা আসবে তাদের নিয়েই খেলা হবে।’ সালাম মুর্শেদী আরো বলেন, ‘যে কোনো টুর্নামেন্টের আগে পিটিআই (পার্টিসিপিশন টার্মস অ্যাগ্রিমেন্ট) স্বাক্ষর করতে হয়। ১২ টি ক্লাবই করেছে। লিগ কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্বাধীনতা কাপ ও ফেডারেশন কাপ কমলাপুর স্টেডিয়ামে হবে। এখন কোনো ক্লাব যদি না খেলার সিদ্ধান্ত দেয় সেটা তাদের একান্ত সিদ্ধান্ত।’
ফেডারেশন কাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর। দল না আসায় আনুষ্ঠানিক কোনো উদ্বোধন হয়নি এবং প্রধান অতিথিও আসেননি।