গতকাল (রবিবার) বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রার্স সংগঠনটি “মার্চ টু বাফুফে” কর্মসূচি পালন করে। এর আগের দিন বাফুফে ভবনে যায় সাবেক ফুটবলাররা। সাবেক ফুটবলারদের দাবি অনুযায়ী তারা অরাজকতা প্রতিহত এবং নারী ফুটবলাদের সুরক্ষার জন্যই বাফুফে ভবনে যায়। তবে তাদের এই পদক্ষেপকে নিজেদের ‘এজেন্ডা’ বাস্তবায়ন করার কার্যকলাপ হিসেবে অবিহিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল আল্ট্রার্স।
আল্ট্রার্সের কর্মসূচির আগের দিন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়রা নিজেরা নিজেরা কর্মসূচি পালন করে। তারা বাফুফে ভবনে যায়। তারা জানায় তারা মূলত দেশের বর্তমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রভাব যেনো বাফুফেতে না পড়ে সেইজন্য তারা এখানে এসেছে। তবে এটাকে তাদের ব্যক্তিগত আন্দোলন বলে মত দেন আল্ট্রার্সের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান অভি।
তিনি বলেন, “ সাবেক ফুটবলাররা যদি কোনো আন্দোলনে এসে থাকে তাহলে এটা ব্যক্তিগত আন্দোলন। তারা যদি আমাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করতো তাহলে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতো,কিন্তু তারা সেটা করে নি। তাই আমি বলবো তারা আমাদের সাথে অফিশিয়ালি যুক্ত না।”
অভি আরো বলেন সাবেক ফুটবলারদের এইরকম কর্মসূচি শুধুমাত্র এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই করা হয়েছে। এর অন্য কোনো কারণ নেই। তাদেরকে পরোক্ষভাবে কাজী সালাউদ্দিনের লোক বলেই অভিহিত করেন অভি। তিনি বলেন, “গতকাল তারা যে আন্দোলনটা করে গেছে, এখানে এজেন্ডা একটা বাস্তবায়ন হয়েছে। এনাদের চিনে রাখুন, এনারা উনারই লোক। তারা গতকাল এসে মানুষের মনে একটা ভীতি ছড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে বাফুফেতে আজকে ভাংচুর হতে পারে। কিন্তু আমরা আমাদের কোনো কর্মসূচিতে বলি নি যে আমরা বাফুফে ভবনে প্রবেশ করবো কিংবা ভাংচুর করবো। তাই তারা কিসের ভিত্তিতে বাফুফে ভবনে এসেছেন ওইটা আমার বোধগম্য নয়।”