মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে ফুটবল ফেডারেশনে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয় বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে হাতছাড়া হওয়ার পথে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপচলতি বছর ১১ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর ভারতে অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়ার কথা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ক্যালেন্ডারেও প্রভাব ফেলেছে এই নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৬ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এরসাথে আগামী ৫ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। এখন কি তাহলে কি ভারতকে ছাড়াই আয়োজিত হবে এই টুর্নামেন্টগুলো?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ (বুধবার) ভার্চুয়াল আলোচনায় বসে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) কর্তারা। আলোচনা শেষে এক বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, ‘ভারতের জন্য ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি পরিস্থিতি উন্নতি হয় তাহলে টুর্নামেন্টের সূচিতে কোনো পরিবর্তন আনা হবে না। আর যদি নিষেধাজ্ঞা বহাল থেকে তাহলে ২৪ আগস্ট নতুন সূচি প্রকাশ করা হবে।’
স্বাগতিক নেপাল, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, বাংলাদেশ ও ভারতকে নিয়ে দুই গ্রুপে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল নারী সাফের। যেখানে পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের সঙ্গে ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত। বি গ্রুপে রয়েছে নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় ভারত অংশ নিতে না পারলে টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে পরিবর্তন আসবে না। ভারতকে ছাড়া বাকি ৬ দলকে নিয়ে আগের গ্রুপিংয়েই হবে নারী সাফ। কিন্তু অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবে ৬ দল। সেখানে যদি ভারত অংশ না নেয় তাহলে এক গ্রুপে দল হয়ে যাবে মাত্র দুইটি। তাইতো ভারত অংশ না নিলে এই টুর্নামেন্ট হতে পারে ৫ দলের রাউন্ড রবিন ফরম্যাটে। এখন তাই নারী সাফ ও অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ বিষয়ক সব সিদ্ধান্তই নির্ভর করছে ভারতের ওপর। দেখা যাক ২৩ আগস্টের মধ্যে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয় কিনা!