অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনেকটা নিশ্চিতই ছিল বাংলাদেশ। তারপরও নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়েই ফাইনাল খেলার আশা ছিল যুবাদের। তবে জয়ের আশা পূরণ না হলেও, ফাইনাল খেলার লক্ষ্য ঠিকই পূরণ হয়েছে যুবাদের। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে সবার আগে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পল স্মলির শিষ্যরা। তবে ফাইনালের আগে যুবাদের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছে নেপাল। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে রেফারিকে দেখাতে হয়েছে তিনটি লাল কার্ড। সব মিলিয়ে দারুন উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল প্রেমীরা।

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে আগে গোল করেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অপরদিকে শুরু থেকেই সাবধানী ফুটবল খেলা বাংলাদেশের অর্ধে বরং নেপালই অনেকটা আধিপত্য করেছে। কয়েকবার বাংলাদেশের সীমানায় বল নিয়ে আতঙ্কও ছড়িয়েছে হিমালয় কন্যা নেপালের যুবারা। গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৯ম মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম সুযোগটা পায়। সতীর্থের বাড়ানো বল রফিকুল ইসলাম নাগাল পাওয়ার আগেই ছুটে এসে গ্লাভসে নেন নেপাল গোলকিপার। ১৩তম মিনিটে সুমিত শ্রেষ্ঠার ভুল হেডে খেলার ধারার বিপরীতে সুযোগ পেয়েছিলেন রফিকুল, কিন্তু তার শট যায় সরাসরি গোলকিপারের কাছে। ৩৩তম মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে দীপেশ গুরুংয়ের বাঁকানো ফ্রি কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকান বাংলাদেশ গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিয়াস আহমেদ নোভা জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।

বিরতির পর উত্তেজনার পারদ আরও বেড়ে যায়। ৪৭তম মিনিটে বাংলাদেশ অধিনায়ক তানভীর হোসেন ফেলে দেন নেপালের উইঙ্গার ক্রিতিস রায়নাকে। আর এটা নিয়ে দুই পক্ষের ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি হলে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। এরপর মালদ্বীপের রেফারি সহকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে নেপালের দীপেশ গুরুং এবং বেঞ্চের আরো একজন ফুটবলারকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। বাংলাদেশের তানভীর ও শাহিদুল দেখেন হলুদ কার্ড। কিন্তু এর আগে আরো একটি হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ ছাড়তে হয় শাহিদুলকে। এরপর ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় দুই দলকে। এরপর ৬৩তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামা মজিবুর রহমান জনির কাট ব্যাক থেকে ডান পায়ে দারুন ফিনিশিং করেন পিয়াস আহমেদ নোভা। তবে ৫ মিনিট পরই নেপাল সমতায় ফেরে। ৬৮তম মিনিট নিরঞ্জন মাল্লা বক্সের বাইর থেকে বুলেট গতির শটে আসিফকে পরাস্ত করেন। শেষ দিকে বাংলাদেশ চেষ্টা করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। ৮৭তম মিনিটে নোভা একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে গোলকিপারকে একা পেয়েও তার শরীরে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।

ফলে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় যুবাদের। ৫ আগস্ট ফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ ভারত। নেপালের কিছুটা সুযোগ থাকলেও স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষেই ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বেশি বাংলাদেশের।

Previous articleরাসেল ও মোহামেডানের জয় দিয়ে শেষ হলো বিপিএল!
Next articleডিসিপ্লিনারী কমিটির জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞার আওতায় ব্রুজন-ক্রুসিয়ানি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here