অনেকটা মিশ্র অভিজ্ঞতায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের নেপাল সফর। জয় না পেলেও মেয়েদের লড়াকু পারফরম্যান্সে আশাবাদী টিম ম্যানেজমেন্ট। নেপালের বিপক্ষে ১ম ম্যাচ খেলতে নামার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ আড়াই বছরের আন্তর্জাতিক বিরতি ভেঙেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। স্বভাবতই অনেকদিন পর খেলতে নেমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব ছিল তাদের। ফলস্বরূপ প্রথম ম্যাচ হেরেছে ২-১ গোলে। প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়েও তোলার আভাস দিচ্ছিল মেয়েরা। দ্বিতীয় ম্যাচের পারফরম্যান্স হয়েছে প্রথম ম্যাচের তুলনায় আরো ভালো।
বাংলার মেয়েদের দ্বিতীয় ম্যাচ টি সরাসরি স্টেডিয়ামে বসে দেখেছেন নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী। সেখানে খেলোয়াড়দের সাথে মতবিনিময় করেন তিনি। এবং খেলোয়ারসহ জাতীয় দলের সকল কর্মকর্তাবৃন্দকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তার নিজ বাসভবনে।
রাষ্ট্রদূতের বাসভবনেই এক অনাড়ম্বর সময় পার করে বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ফুটবলার এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফ এর সদস্যরা।
দেশের জন্য ফুটবলারদের সাহসিকতায় প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। এছাড়াও দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন খুব খুশি দেশের বাইরেও এমন সুন্দর ঘরোয়া আয়োজনে অংশ হতে পেরে।
আর নারী দলের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের কন্ঠে এখানকার ভুল শুধরে নিয়ে এশিয়ান কাপ এর বাছাই পর্বে ভালো কিছু করার প্রত্যাশা।
এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের স্মারক জার্সি উপহার দেন ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু।
আজ রাতেই নারী এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের উদ্দেশ্যে উজবেকিস্তানের যাত্রা করবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল নারী দল।