ফিনিশিং ব্যর্থতাই যেনো চট্টগ্রাম আবাহনীকে তিন পয়েন্ট থেকে বঞ্চিত করলো আজ। চট্টগ্রাম আবাহনীর খেলোয়াড়রা গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে হয়তো সহজ জয় পেতে চট্টগ্রাম আবাহনী। আজ (শনিবার) স্বাধীনতা কাপে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম আবাহনী। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র করেছে মারুফুল হকের শিষ্যরা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৪ মিনিটে নৌবাহিনীর মহিউদ্দিন মাঠের বামপ্রান্তে ফাঁকা জায়গায় রহমত মিয়াকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ায়। রহমত মিয়া বল পেয় ক্রস করেন প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে। রহমত মিয়া ক্রসিংকে কাজ লাগিয়ে মাথার হালকা ছোঁয়াতেই গোল আদায় করে নেন জুয়েল রানা। এতে করে ম্যাচে লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
ম্যাচের ২০ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ আসে চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে। সতীর্থ খেলোয়াড়ের থ্রু পাসে বক্সের ভিতরে বল পান কেন ডাইসা। কিন্তু প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের কাছে তেমন একটা সুবিধা করে উঠতে পারে নি তিনি। ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর কামরুল ইসলামের নেওয়া কর্ণার কিক জালাল গোলপোস্ট বরাবর হেড করেন। কিন্তু নৌবাহিনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল কোনোমতে হাত লাগিয়ে বল গোলপোস্টের উপর দিয়ে বাইরে বের করে দেন।
ফলে একটুর জন্যে আবারো সমতায় ফিরতে পারে নি চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪৪ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর পিটার থ্যাংক গড কাটব্যাক করে বল বাড়ান সতীর্থ খেলোয়াড় সোহেল রানার কাছে। পিটার থ্যাংক গডের কাছে থেকে বল পেয়ে লং রেঞ্জ শট নেন সোহেল রানা। কিন্তু বলটি বারপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়।
প্রথমার্ধের ইঞ্জুরি টাইমে লিড দ্বিগুণের সুযোগ পায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম বাম পায়ের ফ্রি কিককে ক্লিয়ার করতে গিয়ে উলটো বিপদ বাধিয়ে বসেন চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণের খেলোয়াড়। তবে নৌবাহিনীর সাখাওয়াত হোসেন রনির নেওয়া হেডটি গোলবারের উপর দিয়ে চলে গেলে সেযাত্রায় রক্ষা পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। ফলে এক গোলের লিড ধরে রেখে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণ বজায় রাখে দুইদল। ৫৬ মিনিটে থ্যাংক গডকে উদ্দেশ্য করে ছোট্ট করে বল বাড়ায় তার দলের খেলোয়াড়। কিন্তু থ্যাংক গড বলের লাগাল পাওয়ার আগের নৌবাহিনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল গোলপোস্ট থেকে বেরিয়ে এসে গোলের সুযোগ ভেস্তে দেন। ৬৪ মিনিটে গোলের সুযোগ চলে আসে চট্টগ্রাম আবাহনীর রুবেল মিয়ার কাছে। কিন্তু সতীর্থের কোণাকুণি ক্রসকে হেডে লক্ষ্যে রাখতে না পারায় গোল করতে পারে নি রুবেল মিয়া।
৭৮ মিনিটে আবারো সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন চট্টগ্রাম আবাহনীর কেন ডাইসা। মাঠের বামপ্রান্ত থেকে গোলপোস্টের সামনে চমৎকার একটি ক্রস বাড়ান কামরুল ইসলাম। হেড নেবার মাথা বাড়িয়ে ছিলেন কেন ডাইসা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলের দেখা পান নি তিনি।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে অবশেষে সোনার হরিণ গোলের দেখা পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। কামরুল ইসলামের ফ্রি কিক থেকে হেডে গোল করেন কেন ডাইসা। এতে করে ম্যাচে ১-১ গোলে সমতায় ফিরে বন্দরনগরীর দল। এরপর আর কোনো গোল না হলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুদল।