এবারের মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ বেশ ভালোই জমে উঠেছে। ইতিমধ্যেই মোহামেডান ও রহমতগঞ্জের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলো যেমন গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে, তেমনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মতো অপেশাদার দল পৌঁছে গিয়েছে শেষ আটে। বুধবার ‘ডি’ গ্রুপের খেলার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের আসরের গ্রুপ পর্বের লড়াই। গ্রুপ ‘ডি’ থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। বসুন্ধরা কিংসের সাথে শেষ আটের লড়াইয়ে রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি এবং চট্টগ্রাম আবাহনী। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার অপেক্ষা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা কাপের ডি গ্রুপের ম্যাচে ১-১ গোলের সমতায় ম্যাচ শেষ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। প্রথমার্ধে নৌবাহিনী বেশ আক্রমণাত্মক খেলে। আগের দুই ম্যাচের তুলনায় এ ম্যাচে ছন্দে ছিল না পুলিশ। ৮ম মিনিটে মামুনুলের কর্নারে মহিউদ্দিনের জোরালো হেড গোলকিপার প্রতিহত করেন। এর আগে পুলিশের ফরোয়ার্ড ম্যাথিউস বাবলুর শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। প্রথমার্ধে আরো কয়েকটি আক্রমন পাল্টা আক্রমন করেও গোলের দেখা পায়নি কেউ। ফলে গোলশূন্য ভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ৫২তম মিনিটে পুলিশকে এগিয়ে নেন বাবলু। সাহেদুল আলমের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে নৌবাহিনীর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাম পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই ফরোয়ার্ড। ৭২তম মিনিটে সমতায় ফিরে নৌবাহিনী। জাহিদ হোসেনের নিচু ফ্রি কিক জোরালো শটে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন পুলিশের আফগান ফরোয়ার্ড আমিরউদ্দিন শারিফী, কিন্তু পারেননি। বল জটলার ভেতর দিয়েই খুঁজে নেয় জাল। আত্মঘাতী গোলেই সমতায় ফেরে নৌবাহিনী। এরপর আরো কয়েকটি আক্রমন করেও ব্যাবধান বাড়াতে পারেনি কোনো দল। ফলে ১-১ গোলের সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচ।
তিন ম্যাচে দুটি করে পয়েন্ট নৌবাহিনী ও পুলিশের। দুই ম্যাচে দুই পয়েন্ট চট্টগ্রাম আবাহনীর। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে পয়েন্ট পেলেই শেষ আটে যাবে চট্টগ্রাম আবাহনী। কিংসের বিপক্ষে ২-০ বা তার বেশি ব্যবধানে হারলে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।