শুরুটা করেছিলো শূন্য থেকে আজ তা ছুঁতে চলেছে অর্ধশতকের ঘর। আন্তজার্তিক ফুটবল অঙ্গনে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল সর্বমোট মাঠে নেমেছে ৪৯ বার। আজ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ৫০ তম ম্যাচে লাল-সবুজের হয়ে লড়াই করবে বাংলার বাঘিনীরা।
‘ফিফা টায়ার-১’ আন্তজার্তিক দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে নেপাল। প্রথম ম্যাচে নেপালকে প্রায় পরাজিত করে ফেলেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ সময়ের ভুলে গোল হজম করে ১-১ গোলে ম্যাচটি ড্র করে বাংলাদেশে। তাই দ্বিতীয় ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের কাছে একদিক থেকে ম্যাচ জিতলে সিরিজ জয়ের হাতছানি, অপরদিকে ম্যাচটি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের ৫০ তম ম্যাচ।
ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দেশের ফুটবল ভক্তদের হতাশ করতে চান না বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তাদের শুরু একটা লক্ষ্য,সেটি হলো জয়। তিনি বলেন, ‘আমার মাথায় ছিল না। তবে আমরা ম্যাচ জিততে চাই। আমাদের মাথায় শুধু একটাই চিন্তা,জিততে হবে। দেশের মানুষ যেহেতু মাঠে এসে খেলা দেখছে, তারা যেন হতাশ না হয়। সবাই যেন খেলা উপভোগ করতে পারে।’
প্রথম ম্যাচের মতো যদি দ্বিতীয় ম্যাচও ড্র হয় তাহলে ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে গড়াবে। সিরিজ শুরুর আগে ম্যানেজার্স মিটিংয়ে দুই দল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিরিজ নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারের ব্যবস্থা করতে। যে কারণে, আজ ১৬ ই জুলাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচ ড্র হলেই সরাসরি টাইব্রেকারের মাধ্যমে সিরিজ বিজয়ী দল নির্ধারণ করা হবে।
টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ালে কিছুটা চাপ বাড়বে দুই দলের উপর। অনুশীলন করার ফলে সেই চাপকে নগন্য মনে করছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করাই তার দলের অন্য খেলোয়াড়দের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন সাবিনা। তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকারের জন্য আমাদের প্রস্তুতি আছে। আমরা তো টাইব্রেকার অনুশীলনও করলাম শেষের দিকে। তবে আমরা ওই পর্যন্ত যেতে চাই না। নির্ধারিত সময়ে জিতেই ম্যাচ শেষ করতে চাই। দেশবাসীর কাছে এ জন্য দোয়া চাই।’
বাংলাদেশ দল তাদের ক্যারিয়ারের ৪৯ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশীবার মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের। খেলেছে ১১ টি ম্যাচ। তাছাড়া যে দলের বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের পদযাত্রা শুরু হয়েছিলো সে নেপালের সাথে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে নেপাল। দক্ষিণ এশিয়ার দল বাদে বাংলাদেশ দলের উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইরান, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, জর্ডান এবং হংকংয়ের বিপক্ষে খেলারও অভিজ্ঞতা রয়েছে।