যুগের পর যুগ ক্রীড়াঙ্গনে পরিবর্তনের সুর বাজলেও বাস্তবায়নে যেন বারবার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল। পুরাতনদের বিদায়ের পর নতুনদের আগমন হলেও কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের স্বপ্ন আজও অধরা। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামকে ঘিরে নতুন বিতর্ক জন্ম নিয়েছে।
আগামী ১০ জানুয়ারি এই স্টেডিয়ামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, একই দিনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে এই মাঠটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে।
এর আগে বাফুফে বরাবর ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক শামসুল আলমের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামটি ১০ জানুয়ারি অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ভাড়া প্রাপ্তির পর বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এমতাবস্থায় খেলাটি সুবিধাজনক অন্য তারিখে স্থানান্তর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।”
এর পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাচটি স্থানান্তর করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জের মাঠে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব তাদের হোম ম্যাচটি এবার রহমতগঞ্জের হোম ম্যাচ হিসেবে খেলবে। তবে দ্বিতীয় পর্বে তারা তাদের নির্ধারিত হোম ভেন্যুতে, অর্থাৎ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ফিরে আসবে।
একটি কনসার্টের জন্য মাঠ ব্যবহার করলে তার অবস্থা আরও অবনতি হতে পারে। এমনিতেই দেশের ঘরোয়া ফুটবলের মাঠের অবস্থা করুণ। এই পরিস্থিতিতে মাঠের ওপর অতিরিক্ত চাপ মাঠটিকে খেলার অনুপযোগী করে তুলতে পারে। ক্রীড়া পরিষদ ও ফুটবল ফেডারেশনকে সমন্বয়ের মাধ্যমে মাঠ ব্যবস্থাপনায় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা তৈরি করতে হবে। খেলার মাঠে অপেশাদার সিদ্ধান্তগুলো বন্ধ না হলে ঘরোয়া ফুটবলের উন্নয়ন শুধু কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকবে।