করোনা ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশের ফুটবলে ২০১৯-২০ মৌসুমটির প্রায় ৬০ শতাংশ খেলা বাকি থাকতেই মৌসুমটি পরিত্যক্ত হয়। ফলে ক্লাব ও খেলোয়াড়দের মাঝে দেনা পাওনা নিয়ে একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটি সমাধান করা ব্যতিত লীগ কমিটিও নতুন মৌসুমের ঘোষনা দিতে পারছে না।
উক্ত বিষয়টি সমাধানে গতকাল লীগ কমিটির সাথে আলোচনায় বসে কিছু সিনিয়র ফুটবলার। তারা প্রস্তাব করে তাদের পরিত্যক্ত হওয়া মৌসুমের পুরো অর্থ যাতে প্রদান করা হয়। তবেই তারা আসন্ন মৌসুমে একই চুক্তিবদ্ধ অর্থের ৫০-৬০ শতাংশ টাকা ছাড়ে খেলবে। এক্ষেত্রে সিনিয়র খেলোয়াড়রা তাদের পুরোনো ক্লাবে খেলতে রাজি, কিন্তু যেসকল জুনিয়র খেলোয়াড়রা কম টাকায় চুক্তি করেছে তবে গত মৌসুমে ভালো খেলেছে তাদের জন্য আলাদাভাবে চিন্তা করার অনুরোধ জানিয়ে তারা। অর্থাৎ তাদের সাথে যাতে নতুনভাবে চুক্তি অর্থ নিয়ে আলোচনা করে ক্লাবগুলো।
পুরো বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দলের গোলরক্ষক ও শেখ রাসেল কেসি এর অধিনায়ক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, ‘পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান বলেছেন, ক্লাবগুলো ২০১৯-২০ মৌসুমে চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের একই ক্লাবে খেলাতে চায়। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রস্তাবনা হলো, আগের মৌসুমের (স্থগিত হওয়া) চুক্তির পুরো অর্থ ফুটবলারদের পরিশোধ করতে হবে। সেটা হলে নতুন মৌসুমে আমরা ৫০-৬০ শতাংশে খেলব আমাদের পুরনো ক্লাবে। কারণ আমরা চাই খেলাটা শুরু হোক। করোনায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত, তাই ছাড় দিয়েই আমরা খেলতে রাজি।’ জুনিয়র খেলোয়াড়দের বিষয়টিতে তিনি বলেন, ‘যেসব তরুণ গত মৌসুমে ভালো খেলেছে এবং যাদের সঙ্গে একদম কম টাকায় চুক্তি হয়েছে, তাদের বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। অনেকের চুক্তি ছিল পাঁচ লাখ কিংবা আরো কমে, সেটা ধরে নতুন মৌসুমে কাটলে সে কিছুই পাবে না।’
লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদীও আলোচনার পর জানান, ‘ক্লাব, খেলোয়াড় সবাই নতুন মৌসুম শুরুর ব্যাপারে ইতিবাচক। তার আগে গত মৌসুমের দেনা-পাওনার ইস্যুটা চূড়ান্ত করতে হবে। এ জন্য আবার ক্লাবগুলোর বসতে হবে।’
দ্রুত খেলা মাঠে নামানোর পাশাপাশি প্রথম টুর্নামেন্টটি শুধুমাত্র দেশের খেলোয়াড়দের নিয়ে করার প্রস্তাবও দিয়েছে ফুটবলাররা। সেপ্টেম্বরে দলবদল শেষ করে নভেম্বরেই মাঠে ফিরতে চায় তারা।