সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফুটবল আসর। করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে গিয়েছিলো গত বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের আসর। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ হওয়ার কথা ছিলো এই বছরের ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বরে। কিন্তু বর্তমানে এগিয়ে আনা হচ্ছে টুর্ণামেন্টের সময়সূচি।
গত বৃহস্পতিবার সাফ এর সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল ভার্চুয়াল মিটিং করেন সাফের সদস্য দেশগুলোর সাথে। ভার্চুয়াল মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যেক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকগণ। শ্রীলঙ্কা ও নেপাল চাইছে এই বছরেই হোক সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ, তা যে সময়েই হোক। অন্যদিকে ভারতের আরজি করছে এই বছরের ফিফা উইন্ডোতে যেনো এই টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হয়। কিন্তু ভিন্ন চিত্র ভুটানের ক্ষেত্রে। তারা বলে দিয়েছে এই বছর সাফ চ্যাম্পিয়নশীপ হলে, তারা সেই টুর্ণামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তার কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছে করোনার জন্যে তাদের দেশের সরকার তাদের ফুটবলারদের বাইরে যেতে দিবে নাহ। এছাড়া সকলে সভায় সেপ্টেম্বরে টুর্ণামেন্ট আয়োজনের ব্যাপারে একমত হয়েছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের রয়েছে ফিফা নিষেধাজ্ঞা। তাই তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না সাফ টুর্ণামেন্টে। ভুটানও অংশগ্রহণ না করলে এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নিবে ভারত,বাংলাদেশ,নেপাল,শ্রীলঙ্কা,মালদ্বীপ।এই ৫ দল নিয়েই লীগ ভিত্তিক নিয়মে মাঠে গড়াবে সাফের এবারের আসর। ৫ দলের মধ্যে পয়েন্ট এগিয়ে থাকা শীর্ষ দুইদল খেলবে টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ।
এছাড়াও মাঠ সংস্কারের জন্যে টুর্ণামেন্টের ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে নাহ। তাই ভেন্যু হিসেবে চট্টগ্রাম বা সিলেটে আয়োজন করা হবে এই টুর্ণামেন্ট। সেপ্টেম্বর টুর্ণামেন্ট হবে কিনা তা আবার স্পন্সরের উপরও নির্ভর করছে। স্পন্সরসহ অন্যসব বিষয় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন(সাফ) দুই সপ্তাহের মধ্যে সদস্যদেশগুলোকে আবার আলোচনা করবে।