পাওনা বেতন আদায়ে ফিফার কাছে নালিশ করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ব্রাজিলিয়ান বংশদ্ভূত পূর্ব তিমুরের স্ট্রাইকার পেদ্রো হেনরিক। দলের অন্যান্য বিদেশীদের সাথে ক্লাবের চুক্তি সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হলেও পেদ্রো সে পথে হাটেন নি। তিনি তার চুক্তির পুরো টাকাই দাবি করছেন।
শেখ রাসেল কেসি সকল বিদেশীর সাথেই এমন ভাবে চুক্তি করে যাতে লেখা ছিলো একই বেতনে ক্লাব চাইলে দুইমাস চুক্তির মেয়ার কমাতে বা বাড়াতে পারবে। সে অনুসারে পেদ্রোকে মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বেতন দিতে চায় রাসেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পেদ্রো জুলাই মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বেতন দাবি করছে। এই বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিককে শেখ রাসেল কেসি’র পরিচালক সালেহ জামান সেলিম জানান, ‘চুক্তি অনুসারে আমরা পেড্রোর সাথে চুক্তির মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে দিতে পারি বা মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে তাকে ছেড়ে দিতে পারি। আমরা তাকে ১৫ই মে অবধি মজুরি গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিলাম কিন্তু তিনি ১৫ জুলাই পর্যন্ত মজুরি দাবি করেছেন। আমরা চুক্তি অনুসারে সবকিছু করেছি। এমনকি আলিশার(আজিজভ) তাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি ফিফার কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।’
ফিফা বিষয়টি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে জানিয়েছে। উক্ত বিষয়ে বাফুফে’র কর্মকর্তা জাবের বিন তাহের আনসারি জানান, ‘পেড্রো প্রায় এক লাখ মার্কিন ডলার দাবি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফিফায়। তিনি উল্লেখ করেন যে, শেখ রাসেল তাকে মজুরি প্রদান করেননি এবং আহত হওয়ার পর তার চিকিৎসার জন্য ব্যয়ও বহন করেননি। আমরা ক্লাবকে এই বিষয়ে জানিয়েছি।’ উল্লেখ্য যে, লীগ বন্ধ হওয়ার পূর্বে শেখ রাসেল ও মোহামেডানের মধ্যকার ম্যাচে পেদ্রো ইনজুরিতে পড়েন।
শেখ রাসেল কর্তৃপক্ষ ফিফাকে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে সালেহ জামান সেলিম বলেন, ‘তিনি (পেদ্রো) আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা ইতোমধ্যে সমস্ত কাগজ-পত্র ফিফায় নিকট প্রেরণ করেছি। আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি কারণ তিনি আমাদের দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।’ বর্তমানে ফিফার নির্দেশের অপেক্ষায় আছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।