সাফের শুরুটা মোটেও সুখকর হয় বাংলাদেশ নারী দলের জন্য। তুলনামূলক কম শক্তিশালী পাকিস্তানের কাছে প্রায় হেরে যেতে বসেছিলো বাংলাদেশ। শেষ মুহুর্তে শামসুন্নাহার জুনিয়রে গোলে পরাজয়ের গ্লানি থেকে রক্ষা পায় পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
গতবার যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬-০ তে জয় পেয়েছিলো এবার সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র সাবিনারা। খেলোয়াড়েরা নিজেদের আশানুরূপ খেলা খেলতে পারে নি। নিজেদের সে দায়টা স্বীকার করেছেন ম্যাচ সেরা মনিকা চাকমা,
‘প্রথমেই আমরা হেরে যেতে বসছিলাম, তো একটা ভয়ও কাজ করছিল, পাকিস্তানের কাছে যদি আমরা হেরে যাই, সেটা দুর্ভাগ্যজনক এবং আমাদের ও বাংলাদেশের জন্যও সেটা খুবই খারাপ। আমরা দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারছিলাম না। তবে আমরা চেষ্টা করেছি, আমাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ মুহুর্তে গোলে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে সবচেয়ে ভুগিয়েছে ফিনিশিং ব্যর্থতা। ম্যাচের বেশীরভাগ সময়জুড়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পায়ে বল থাকলেও গোল করে উঠতে পারছিলো না কেউই। এই প্রসঙ্গে মনিকা বলেন,
‘পাকিস্তানের বিপক্ষে আমরা তো একের পর এক আক্রমণ করেছি, আমাদের ফিনিশিংয়ে একটু সমস্যা ছিল, এজন্য হয়ত পারিনি।’
আগামী বুধবার শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। পাকিস্তানের বিপক্ষে করা ভুলগুলো ভারতের বিপক্ষে করতে চায় না নারী ফুটবলারা। তাই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের বিগত ম্যাচের ভুলগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরেছে বলে জানান মনিকা চাকমা,
‘আমরা খেলোয়াড়রা সবাই সবার সাথে আলাপ করেছি, কোন জায়গাতে কার কার ভুল হয়েছে বা কিভাবে খেলা দরকার, এগুলো নিয়ে আসলে সবাই আলোচনা করেছি। কী করলে আরও ভালো হতো সেটা নিয়েও আমরা খেলোয়াড়রা আলোচনা করেছি।’